পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মারাত্মক বন্যা হয়েছে। বপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন। তছনছ অন্ধ্রপ্রদেশ। কোথাও কোথাও ভূমিধস, কোথাও আবার বন্যা। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।
মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে তেলেঙ্গানা সরকার। বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসের জেরে প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে। শুধুমাত্র বিজয়ওয়াড়াতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। ভারি বৃষ্টির জেরে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুমিছিলে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছেন।
দ্রুত সমস্যার সমাধানে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা পিছু ৩ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করেছে সরকার। চন্দ্রবাবুও জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তিনি। ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তিনি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বজায় থাকবে অন্ধ্রপ্রদেশে। শনিবারের মতো রবিবারেও ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিহতের মধ্যে ৫ জন বিজয়ওয়াড়ার মোগলরাজাপুরমে ভূমিধসে মারা গেছেন। গুন্টুর জেলায়, একজন শিক্ষক এবং দুই ছাত্র বাড়ি ফেরার সময় প্রবল স্রোত পার হতে গিয়ে তাঁদের গাড়িটি ভেসে যায় এবং তাঁরা সকলে প্রাণ হারান। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া, মাছিলিপত্তনম, গুদিভাদা, কাইকালুরু, নরাসাপুরম, অমরাবতী, মঙ্গলাগিরি, নন্দিগামা এবং ভীমাভারম সহ অন্যান্য স্থান।
বন্যা ও বৃষ্টির কারণে বিজয়ওয়াড়া-ওয়ারাঙ্গল রুটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন সতর্ক করে বলছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার বেশিরভাগ নদী আগামী দুই দিনের মধ্যে ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে। দ্রুত সমস্যার সমাধানে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা পিছু ৩ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করেছে সরকার। চন্দ্রবাবুও জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তিনি।