নয়াদিল্লি, ২৯ আগস্ট: ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের সাফল্য। দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ পেতে চলেছে দেশ। যার নাম আইএনএস আরিঘাট। আইএনএস আরিঘাট হল অরিহন্ত -শ্রেণীর সাবমেরিনের একটি আপগ্রেড করা রূপ। এটি দ্বিতীয় পারমাণবিক চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন যা ভারত দ্বারা নির্মিত হচ্ছে অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেল (এটিভি) প্রকল্পের অধীনে বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং সেন্টারে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য। এটির কোড নাম এস-৩। ‘আইএনএস আরিঘাট’ ‘আইএনএস অরিহন্তের থেকেও অত্যাধুনিক। আইএনএস আরিঘাট’-এ কে-১৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ৭৫০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে অনায়াসে আঘাত হানতে সক্ষ্মম।
এই বৈশিষ্টই ‘আইএনএস আরিঘাট’কে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। এই ডুবোজাহাজ ঘণ্টায় ২২-২৮ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সাবমেরিনটতে ক্ষেণনাস্ত্র ছাড়াও ২১ ইঞ্চির চারটি টর্পোডো রয়েছে। পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করে এই জাহাজ সমুদ্রের উপরে ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে চলবে। সমুদ্রের নীচে ঘণ্টায় এর গতিবেগ ৪৪ কিলোমিটার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অরিহন্ত-শ্রেণির সাবমেরিন ভারতের পারমাণবিক ত্রয়ীকে শক্তিশালী করবে, পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, এই অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে এবং দেশের নিরাপত্তায় নির্ধারক ভূমিকা পালন করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিউক্লিয়ার মিসাইল কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশের জন্য নৌশক্তিকে মাইলফলককে জাতির জন্য একটি কৃতিত্ব এবং একটি প্রমাণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সেইসঙ্গে রাজনাথ সিং মনে করিয়ে দেন প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতা অর্জন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের অটল সংকল্পের প্রমাণ।