কলকাতাThursday, 3 October 2024
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুম্মার নামাযের জন্য বরাদ্দ সময় তুলে দেওয়া আমার একার সিদ্ধান্ত নয় সমালোচনার মুখে পড়ে সাফাই হিমন্তর

mtik
October 3, 2024 6:31 pm
Link Copied!

গুয়াহাটি, ১ সেপ্টেম্বর: শুক্রবার জুম্মার নামাযের জন্য বিধানসভায় যে সময় বরাদ্দ ছিল তা কেড়ে নিয়েছে অসমের হিমন্ত সরকার।  আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিরোধীরা তো বটেই, এমনকী জেডিইউয়ের বিজেপির শরিক দলগুলিও এর বিরুদ্ধে সরব  হয়েছে। আর এই নিয়ে রবিবার সাফাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর সাফাই, এই সিদ্ধান্ত তাঁর একার নেওয়া নয়। এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিতে নেওয়া হয়েছে। 

হিমন্তর কথায়, ‘জুম্মার নামাযের জন্য ২ ঘণ্টার যে সময় দেওয়া হত তা তুলে দেওয়া শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর একার সিদ্ধান্ত নয়।  বিধানসভায় হিন্দু-মুসলিম সমস্ত বিধায়কের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, হিমন্তর বিরুদ্ধে সবথেকে  আক্রমণাত্মক মন্তব্যটি করেছিলেন আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব।

তেজস্বী সরাসরি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘চিনা ভার্সন’ বলে কটাক্ষা করেছিলেন। এদিন অবশ্য  তারও জবাব দিয়েছেন হিমন্ত। সরাসরি তেজস্বির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘তেজস্বী যাদব আমার সমালোচনা করছেন, কিন্তু  আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাই…বিহারে কি এমন কোনও নিয়ম রয়েছে? আপনি যখন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন আপনার উচিত ছিল জুম্মার নামাযের জন্য চার ঘণ্টার বিরতি কার্যকর করা। 

অন্যের বিরুদ্ধে এইসব প্রচার করার আগে আগে নিজে এটি করে দেখান। যারা আমাকে এইসব পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা যদি তাঁদের নিজ  নিজ রাজ্যে জুম্মার নামাযের জন্য চার ঘণ্টার বিরতি দেওয়া শুরু করেন তাহলে আমি আমার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়ে ফের নামাযের জন্য দুই ঘণ্টার বিরতি কার্যকর করব। 

একমাত্র অসম বিধানসভা ছাড়া দেশের আর কোনও বিধানসভায়  এই নিয়ম নেই। এমনকী লোকসভা ও রাজ্যসভাতেও এমন কোনও নিয়ম নেই।’ এরপরই হিমন্ত বলেন,  ‘জুম্মার নামাযের জন্য ২ ঘণ্টার বিরতি দেওয়ার যে নিয়ম ছিল তা বাতিল করা মুখ্যমন্ত্রীর একার সিদ্ধান্ত নয়। হিন্দু-মুসলিম সমস্ত  বিধায়কের সিদ্ধান্ত ছিল এটি।’