পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কনফিডেন্স অত্যন্ত কম! জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই বারবার প্রমাণ করছে বিজেপি। ওদিকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণাতেও শ্যাম রাখি না কুল রাখি পরিস্থিতি বিজেপির অন্দরে। ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর মাত্র কটা দিন। সোমবার সকাল সকাল ৪৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। মুহুর্তের মধ্যেই ফের সেই নাম প্রত্যাহার করে নেয় গেরুয়া দল। জানানো হয়, ‘ভুল করে একসঙ্গে তিন দফার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।’ তারপর ভুল শুধরে নিয়ে আরও কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোমবার ফের বিজেপির পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরাই হবেন বিজেপির পক্ষ থেকে প্রথম দফার প্রার্থী। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে ভুল করে প্রকাশ করা হয়েছে বললেও, অন্যান্য সূত্রের দাবি, তালিকা প্রকাশের পরপরই দলীয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা যাদেরকে প্রার্থী হিসেবে পাওয়ার আশা করেছিলেন, তাদের নাম লেখেইনি বিজেপি। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ভুলের ছুতোয় প্রত্যাহার করা হয় তালিকা।
প্রথমে যে ৪৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল গেরুয়া দল সেখানে নাম ছিল না জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়নার এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং এবং কোবিন্দর গুপ্তার। এসব দেখে দলের অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়। দিল্লিতে সেই খবর পৌঁছাতেই তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করা হয় তালিকা।
প্রথমে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে নাম ছিল অরবিন্দ গুপ্তা, শ্যাম লাল শর্মা, দু’জন কাশ্মীরি পণ্ডিত ও ১৪ জন মুসলিম প্রার্থীর। এর সঙ্গে ছিল এনসি, পিডিপি, কংগ্রেস ও প্যান্থারস পার্টির দলত্যাগী নেতাদের নাম।
অনেকের মতে, প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিজেপির এই দ্বিধা–দ্বন্দ্ব আসলে তাদের আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন। যোগ্য প্রার্থী যে তাদের হাতে নেই তার প্রমাণ, বিজেপি বিরোধী দলগুলির দলবদলু নেতাদের উপরই ভারসা রাখতে হচ্ছে মোদিকে।
রবিবার রাতে দিল্লিতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, তার ও নেতৃত্বে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে সেখানকার বিধানসভার লড়াই। তিন দফার নির্বাচন শেষ হবে ১ অক্টোবর। ফল প্রকাশিত হবে ৪ অক্টোবর।