দিসপুর, ২৮ আগস্ট: শুক্রবারেই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে নাম লেখাবেন বলে জানা গেছে। তার আগে বড়সড় অভিযোগ আনলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। চম্পাইয়ের পিছনে নাকি চর লাগানো হয়েছে, চলছে প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজরদারি।
চলতি বছরই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তাই ভোটের আগে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। এসবের মাঝে ঝাড়খণ্ডে এবারের নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা চলছে। সোমবার রাতে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কর্মী-সমর্থকদের কাছে ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ হিসেবে পরিচিত চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের বর্তমান শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা তিনি।
বিহার থেকে পৃথক হয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরির ক্ষেত্রে তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। কারণ সেইসময় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। সেইসময় প্রবীণ এই নেতার উপর আস্থা রাখে জেএমএম। কিন্তু, হেমন্ত সোরেন জামিন পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় চম্পাই সোরেনকে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পরই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইের। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, চম্পাই সোরেনের পিছনে গোয়েন্দা লাগিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। যা স্বাধীন ভারতে বেনজির। হিমন্ত বলেন, সোরেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু যোগ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। এক সপ্তাহ আগে তিনি তিন দিনের জন্য দিল্লি যান। ফের ২৬ তারিখে কলকাতা হয়ে দিল্লি যান। দু’বারই তাজ হোটেলে উঠেছিলেন। সঙ্গে ব্যক্তিগত সহায়ক, রক্ষীরাও ছিলেন। গতকাল জানা গিয়েছে দু’বারই ঝাড়খণ্ডের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দুই এসআই তাকে অনুসরণ করেছেন। তার বিমানে গিয়েছেন। সোরেনের হোটেলেই ওঠেন তারা।
গতকাল বিকেলে ওই দুই এসবি অফিসারকে ছবি তোলার সময় সোরেনের সঙ্গীরা ধরে ফেলেন। তাদের দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সোরেন এফআইআরও করেন। হিমন্ত জানান, প্রথমে ওই দু’জন নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও জেরায় জানা যায়, ওই দুই জন আসলে ঝাড়খণ্ড পুলিশের এসবি।
তারা জানিয়েছেন, সরকারের ‘সাংবিধানিক পদে’ থাকা এক নেতার নির্দেশেই এডিজিপি প্রভাত কুমার চম্পাই সোরেনকে অনুসরণ করার জন্য ওই দুই এসআইকে নিয়োগ করেছিলেন। হয়তো সোরেনের ফোনেও আড়ি পাতা হচ্ছিল। তিনি নিজে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবেন, এ-ও জানান হিমন্ত।