পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: শেখ হাসিনার আমলে বিরোধী কণ্ঠকে দমন করার জন্য অস্ত্র ছিল গুম। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর বাংলাদেশের বহু জায়গায় দেখা মিলেছে আয়না ঘরের। এসব গোপন সেলে গুম করে বন্দি করে রাখা হত রাজনৈতিক নেতাদের। বাংলাদেশের নয়া অন্তর্বর্তী সরকার এই গুম সংস্কৃতির অবসান চায় দেশ থেকে। তাই গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ। কনভেনশনটি ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কে গৃহীত হয়েছিল, তবে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা, ঘোষণা করছি যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপর্যুক্ত কনভেনশনটি বিবেচনা করে আমরা এতে যোগদান করছি এবং তাতে অন্তর্ভুক্ত শর্তাবলি বিশ্বস্ততার সঙ্গে পালন ও কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করছি। ’
৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবসের একদিন আগেই বাংলাদেশ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হয়েছে। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ রয়েছে। স্বজনরা গুম হয়েছেন এমন দাবি করে আসছেন বেশকিছু পরিবার। ‘মায়ের ডাক’সহ তাদের একাধিক সংগঠন রয়েছে। এর আগে এই সপ্তাহের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত প্রতিটি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে।