পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের সাজা সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল কলকাতা মহানগরী। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডানে চলছে নবান্ন অভিযান। লাল বাজার সূত্রে খবর, মিছিল আটকাতে উপনগরপালের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নবান্নের সামনে কড়া নিরাপত্তা।
পুলিশের তরফে থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যারা আজকে মিছিলে আসছেন, তাদের পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, আইনসিদ্ধ আন্দোলনে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। পুলিশের তরফে অনুরোধ আইন মেনে মিছিল করুন। সেই অনুযায়ী সেখানে পাঁচজনের বেশি মানুষের আইনত নিষিদ্ধ। সেই বিষয়টি মাথায় রাখুন’। আইন মেনে মিছিলের অনুরোধ। রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন তার সংলগ্ন চত্বরে ১৬৩ ধারা লাগু থাকে। সেই ধারা অনুযায়ী সেখানে পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত করা আইনত নিষিদ্ধ। এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।”
উত্তপ্ত হয়েছে সাঁতরাগাছি। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান থেকে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। হাওড়া ব্রিজের ঠিক মুখেই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। জাতীয় পতাকা হাতে ব্যারিকেডে উঠে পড়েন একজন।
নবান্ন অভিযান ঘিরে এই মুহুর্তে তুলকালাম পরিস্থিতি হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিশ ও র্যাফ লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশ ও র্যাফ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায়। এরপর আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে পড়ে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের হটাতে জলকামান চার্জ করলো পুলিশ।
নবান্ন অভিযানের মিছিল রুখতে ক্রেন দিয়ে রাস্তায় কন্টেনার নামানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যারিকেডে গ্রিজ এবং মোবিলের মতো পিচ্ছিল পদার্থ লাগানো হচ্ছে।