পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফোঁস’ বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই বিতর্কের মাঝে এবার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই তার জবাব দিলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়া ও আন্দোলনের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করিনি। আমিও তাদের কোনও রকম দোষারোপ করিনি। এই আন্দোলন ন্যায্য। আমি এই আন্দোলনকে সমর্থন করি। কিন্তু মানুষ মিথ্যা দোষারোপ করছমুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি আরও স্পষ্ট করছি যে আমি গতকাল আমার বক্তৃতায় যে বাক্যাংশটি ব্যবহার করেছি তা শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের একটি উদ্ধৃতি। সাধক বলেছিলেন, মাঝে মাঝে ফোঁস করতে হয়। অপরাধ ও ফৌজদারি অপরাধ হলে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে হবে। সেই বিষয়ে আমার বক্তৃতা ছিল মহান রামকৃষ্ণের উক্তির সরাসরি ইঙ্গিত।
“সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট, ‘আমি বিজেপির বিরুদ্ধে বলেছি। কারণ বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে রাজ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। আমি তারই প্রতিবাদ করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমরা বলেছিলাম বদল চাই, বদলা নয়। আজ বলছি যেটা করার দরকার সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি অশান্তি চাই না। কিন্তু কুৎসা, অপ্রচার, চক্রান্ত করে যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, আপনি তাকে কামড়াবেন না। কিন্তু ফোঁস তো করতে পারেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলেছিলেন, একটা গোখরো সাপ তাঁর কাছে গিয়ে বলেছিল, ঠাকুর তুমি তো আমাকে কামড়াতে নিষেধ করেছ, আমি কাউকে কামড়াই না। কিন্তু আমাকে অনেকে ইট মারে, আমার রক্ত পড়ে, আমার খুব কষ্ট হয়, ঠাকুর বললেন শোন তোমাকে আমি কামড়াতে নিষেধ করেছি, তোমাকে আমি ফোঁস করতে নিষেধ করিনি, আগামী দিন আপনাদের কাজ হচ্ছে চক্রান্তকারীদের মুখোশ খুলে দিয়ে ফোঁস করতে শিখুন।’
সেই সঙ্গে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আমি কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই না। আমি চাই ওরা ভালো করে পড়াশোনা করুক। আমি যদি কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করি তাহলে তাদের ভবিষ্যৎটা নষ্ট হয়ে যাবে। কোথাও আর চান্স পাবে না। পাসপোর্ট পাবে না, ভিসা পাবে না। আমরা সেটা চাই না।
ে।
য়