ফুটপাত কারো অধিকার নয়, ফুটপাত সরকারি জায়গা: সাফ বার্তা ফিরহাদের
ক্যানিং ও বাসন্তীতে বাজ পড়ে মৃত ২
বউবাজারের ছাত্রাবাসে পিটিয়ে খুন মুসলিম যুবক, আটক ১৪
পুবের কলম প্রতিবেদক: চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের যুগুলবন্দি আবেগি আয়েশে ছন্দপতন। বাঙালির সকাল-বিকেলের চায়ের আসরে আর দেখা মিলবে না ব্রিটানিয়া বিস্কুটের। আচমকায় বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের প্রায় শতাব্দি প্রাচীন ‘ব্রিটানিয়া’বিস্কুট কারখানা।
সোমবার কলকাতার তারাতলায় অবস্থিত ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানায় তালা পড়ে গেল অনির্দিষ্টকালের মতো।
রাজ্যে ব্রিটানিয়া বিস্কুট প্রস্তুতকারি সংস্থার একমাত্র কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হওয়ায় চাকরি হারালেন সংস্থার শতাধিক স্থায়ী কর্মী ছাড়াও প্রায় ২৫০ অস্থায়ী কর্মী। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়ে দিশেহারা রাজ্যের কয়েকশো পরিবারের সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, ব্রিটানিয়া বিস্কুটের সঙ্গে রাজ্যবাসীর সম্পর্ক প্রায় একশ বছরের।কলকাতা বন্দরের সম্পত্তি লিজ নিয়ে তারাতলায় অবস্থিত ওই বিস্কুট উৎপাদনকারি কারখানাটি দশকের পর দশক ধরেই বিস্কুট তৈরি করছিল।
জানা গিয়েছে ওই কারখানায় প্রতি বছর গড়ে ২৫০০ টনেরও বেশি বিস্কুট-সহ স্ন্যাক্স জাতীয় অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন হতো।
কিন্তু গত দুই মাস ধরে তেমন কোনো উৎপাদন না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন কারখার বিপুল সংখ্যক স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীরা। তারপরেও কারখানা চালু ছিল।কিন্তু, সোমবার সকালে কারখানার গেটে তালা ঝোলানো দেখেই কার্যত মাথায় বাজ পড়ে কর্মীদের।
অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় পৌঁছে গিয়েই কর্মীরা দেখতে পান কারখানার মূল গেটে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি।
কিন্তু, কী কারণে আগাম কোনো ঘোষণা ছাড়ায় কলকাতার একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কর্মীদের কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও এদিন বন্ধ কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সদ্য কাজ হারানো কর্মচারীরা জানান, ‘সংস্থার পক্ষ থেকে আগাম কিছু না জানিয়েই দুম করে এভাবে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলো। এর ফলে কর্মীদের পাশাপাশি না খেয়ে মরতে হবে কর্মীদের পরিবারের হাজার হাজার সদস্যদের।’