পুবের কলম প্রতিবেদকঃ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি
সক্রিয়তার বিরুদ্ধে পথে নামল মানবাধিকার ও গণ-আন্দোলনের কর্মীরা। বাংলাজুড়ে
প্রতিবাদী রাজনৈতিক ও গণ-আন্দোলনের কর্মীদের উপর এনআইএ-এর অভিযানের বিরুদ্ধে গণ-মিছিল করা হয় শুক্রবার। বিভিন্ন গণ-সংগঠনের
ডাকা ওই মিছিলে পা মেলান অনেকেই। এদিন কলেজ স্ট্রীট থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলায়
গিয়ে শেষ হয়। প্রতিবাদ মিছিল থেকে ইউএপিএ, পিএসএ, এনএসএ সহ সমস্ত গণতন্ত্র-বিরোধী দমনমূলক আইন
এবং এনআইএ-কে বাতিল করার দাবি জানান তারা। এক গণ-আন্দোলনের কর্মীর দাবি, দেশজুড়ে
এনআইএ-এসটিএফ-পুলিশ কর্তৃক গণআন্দোলনের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে
ফাঁসানো হচ্ছে। সমস্ত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
গত ১ অক্টোবর, কাকভোরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ১১
জন সমাজকর্মীর বাড়িতে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সাংবাদিক, সমাজকর্মী
ও মানবাধিকার কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁদের মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, বই
ও পত্র-পত্রিকা বাজেয়াপ্ত
করে এনআইএ। মানবাধিকার কর্মী রাহুল চক্রবর্তীর বক্তব্য, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামগুলি
বাজেয়াপ্ত করার সময় এনআইএ-র আধিকারিকরা কোনও ‘হ্যাশ ভ্যালু’ (যা দিয়ে পরবর্তীতে ওই সমস্ত সরঞ্জামের মধ্যে
বাইরে থেকে কোনও কিছু ঢোকানোকে আটকানো যায়) উল্লেখ করে নথি দেয়নি। ফলে আমরা
আশঙ্কা করছি, যে পরবর্তীতে
এঁদের ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের মধ্যে অবাঞ্ছিত কিছু জিনিস ঢুকিয়ে ‘মাওবাদী সংযোগ' প্রমাণের চেষ্টা
করা হবে। ঠিক যেমন আমরা দেখেছি ভীমা কোরেগাঁও মিথ্যে মামলা সাজাতে
করা হয়েছিল।
বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা 'জলসাথী' কর্মীদের
ফুটপাত কারো অধিকার নয়, ফুটপাত সরকারি জায়গা: সাফ বার্তা ফিরহাদের
পঞ্চম দফায় ৭ কেন্দ্রের ১৩,৪৮১টি বুথে ভোটগ্রহণ, ৬১৩ বাহিনী সহ মোতায়েন ২৫,৫৯০ রাজ্য পুলিশ
এপিডিআর-এর সম্পাদক রঞ্জিত সুর বলেন, 'মাওবাদীদের সঙ্গে
সংযোগের অজুহাত খাড়া করে ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকার আজ সমস্ত বিরুদ্ধ মতকে দমনের
চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই কাজে এনআইএ-কে অন্যতম হাতিয়ার
হিসেবে ব্যবহার করছে। আমাদের আশঙ্কা, কুখ্যাত ভীমা কোরেগাঁও মামলার মতোই এক্ষেত্রেও
বিজেপি সরকার বিরুদ্ধ স্বরকে টুটি টিপে মারতে চাইছে। আমরা জোর গলাই বলতে চাই, আমরা ভয় পাচ্ছি
না।' এদিন রাজ্যের সমস্ত গণতন্ত্র-প্রেমী মানুষকে ফ্যাসিস্ট বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে
ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন গণ-আন্দোলনের কর্মীরা।