পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইরানে শুরু দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। প্রথম দফার ভোটে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হচ্ছে। প্রথম দফায় ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন সংস্কারপন্থি প্রার্থী পেজেশকিয়ান। আর ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন সাইদ জালিলি। গত ২৮ জুন প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় আজ দ্বিতীয় দফার ভোট হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ১৪ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় আজ ৫৮ হাজার ৬৩৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।রানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই ভোট দিয়েছেন। প্রথম দফার নির্বাচনে ইরানের ৬ কোটি ১০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন।
১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির ঘটনা। নিয়মানুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল অর্থাৎ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হতো। গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইন্তেকালের পরে দেশটিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে আগাম নির্বাচনের বিকল্প ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
২,১০০ সালে জনসংখ্যা হবে ১ হাজার ২০ কোটি
ইসরাইলি জিম্মিদের আত্মহত্যার চেষ্টা
১১ বছর পর দিগন্ত টিভির সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
প্রথম দফার নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ও জালিলি ছাড়া আরও দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁরা হলেন কট্টরপন্থী পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ এবং কট্টরপন্থী মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। গালিবাফ ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। আর পুর মুহাম্মদি পেয়েছিলেন ১ শতাংশের কম ভোট।দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদরোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। প্রাক্তন দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি। অপর দিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন।