বিশেষ প্রতিবেদন: পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদকে ঘিরে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল যেন অন্তহীন। বিজ্ঞানীদের থেকে জানতে পেরে এখন সাধারণ মানুষও চাঁদকে নিয়ে সর্বদা উৎসুক থাকেন। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও অভিযানের মাধ্যমে চাঁদকে আরও খুঁটিয়ে চেনাই যেন লক্ষ্য গবেষকদের। এবার ইতালির একদল বিজ্ঞানী দাবি করলেন, তারা চাঁদের মাটিতে খুঁজে পেয়েছেন গুহা! জানা গিয়েছে, গুহাটির অবস্থান চাঁদের ‘শান্তসাগরে’র কাছে। ১৯৬৯ সালে যেখানে নিল আর্মস্ট্রংদের নিয়ে অ্যাপোলো ১১ নেমেছিল সেখান থেকে ২৫০ মাইল দূরে অবস্থিত ওই গুহা। মনে করা হচ্ছে, অতীতে লাভা উদ্গীরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল সেটি। গুহাটি ১৩০ ফুট চওড়া ও তার দৈর্ঘ্য সম্ভবত ১০ গজ বা তার চেয়েও বেশি। ইতালির ট্রেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গবেষক দল ওই গুহা খুঁজে পেয়েছে তাদের প্রতিনিধি লিওনার্দো কেরিয়ার ও লোরেঞ্জো ব্রুজন জানাচ্ছেন, ‘চাঁদের গুহা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রহস্য হয়ে রয়েছে। আর তাই সেটা খুঁজে পেয়ে আমরা বিস্মিত।’ বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই একটি গুহাই নয়, আরও অসংখ্য গুহা ওই এলাকায় রয়েছে বলে তাঁরা নিশ্চিত। এমনকী, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেও ওই ধরনের গুহা থাকতে পারে। ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ পাঠানো ও সেখানে কলোনি স্থাপনের স্বপ্ন রয়েছে নাসার। মনে করা হচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে এই ধরনের গুহা নভশ্চরদের আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। এখানে থাকলে তারা মহাজাগতিক রশ্মি, সৌর তেজস্ক্রিয়তা ও ছোটখাটো উল্কার আঘাত থেকেও বাঁচতে পারবেন। বিজ্ঞানীদের মতে, ভবিষ্যতে পৃথিবী মানুষের বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য হলে তখন চাঁদই হতে পারে মানুষের ‘নতুন বাড়ি’। তাই উপগ্রহটিকে ভালো করে চিনতে একটানা গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রপৃষ্ঠে গুহার সন্ধানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।