ইসলামাবাদ, ২২ আগস্ট: পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভবনে এক অদ্ভুত সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে এটি রাজনৈতিক নয়। ভবনটি দখল করে নিয়েছে একদল ইঁদুর। এই বড় বড় ইঁদুরগুলো রাতভর সেখানে দৌড়াদৌড়ি করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিও নষ্ট করছে।
পাকিস্তানে বিলুপ্ত হচ্ছে ২৮ সরকারি বিভাগ ও দেড় লক্ষ পদ!
ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ
১৬ আগস্ট নির্বাচন হলে জিততেন কমলা, বলছে ওয়াশিংটন পোস্ট
সম্প্রতি, পার্লামেন্টের একটি আনুষ্ঠানিক কমিটি ২০০৮ সালের বিভিন্ন বৈঠকের নথিপত্র পর্যালোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন সেগুলো সংগ্রহ করা হয়, দেখা যায় যে অনেক নথিই ইঁদুরে কাটা। এর পরেই সমস্যাটি সবার নজরে আসে। এ অবস্থায় ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে সেখানে শিকারি বিড়াল মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ইঁদুর শিকার এবং ভক্ষণে দক্ষ বিড়াল মোতায়েনের পাশাপাশি পার্লামেন্টের বিভিন্ন স্থানে ইঁদুর ধরতে বিশেষ ফাঁদও পেতে রাখা হবে।
জাতীয় পরিষদের মুখপাত্র জাফর সুলতান জানান, ‘এখানকার ইঁদুরগুলো এতটাই বড় যে বিড়ালও তাদের দেখে ভয় পাচ্ছে।’ ইঁদুরের উৎপাত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে ১২ লাখ পাকিস্তানি রুপি বার্ষিক বরাদ্দ করতে হয়েছে।
দ্বিতীয় তলাতেই ইঁদুরের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। সেখানে বিরোধী দলের নেতার কার্যালয় অবস্থিত। এ ছাড়া, ওই তলাতে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এবং স্থায়ী কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সেখানে একটি খাবারের হলও আছে।
সাধারণত দিনের বেলায় ইঁদুরগুলোকে দেখা যায় না, তবে লোকজন যখন দিনের কাজ শেষে চলে যায়, তখন তারা বের হয়ে আসে। জাতীয় পরিষদের এক কর্মকর্তা জানান, ‘সাধারণত সন্ধ্যার দিকে, যখন কেউ থাকে না, তখন ইঁদুরগুলো ম্যারাথনের মতো দৌড়াতে থাকে। কর্মীরা এ দৃশ্যে অভ্যস্ত, কিন্তু যারা প্রথমবারের মতো এখানে আসে, তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’
ইঁদুরের উপদ্রব মোকাবিলার জন্য পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ এখন পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির সাহায্য নিতে চাইছে। তারা ইতিমধ্যে পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত দুটি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।