ঢাকা, ৫ অগাস্ট: আন্দোলনে নতুন করে ফের উত্তাল বাংলাদেশ। দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এপর্যন্ত নিহত হলেন ১০১ জন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুধুমাত্র রবিবারের সংঘর্ষেই এ পর্যন্ত ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ৯৮ জনের মারা গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও কয়েকশো ভর্তি হাসপাতালে। রবিবারের পর সোমবার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের ডাকা 'লং মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি ঘিরে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। কারফিউয়ের মাঝেই বিভিন্ন শহর থেকে মিছিল করে ঢাকায় আসছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে শহিদ মিনারের সামনেও জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো আন্দোলনকারী। তাঁদের সরাতেই কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিভিন্ন জায়গায়। নতুন করে সংঘর্ষ অন্তত ৯৮ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়। অন্যদিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত সাড়ে আট হাজার ফিলিস্তিনি পড়ুয়ারা
শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!
প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ, বিক্ষিপ্ত ঘটনায় মৃত্যু, গণপিটুনি, অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার
সূত্রের খবর, রবিবার একাধিক সরকারি অফিসে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে পিছু হটতে হয়। তখন আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্যে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঘটনায় ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও বগুড়ার সাতমাথায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ রণক্ষেত্র হয় পুরো শহর৷ বিটিসিএল, জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে মুজিব মঞ্চ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।