Sat, September 21, 2024

ই-পেপার দেখুন

খামেনির ইমামতিতে তেহরানে জানাযা ইসমাইল হানিয়ার

ইমামা খাতুন

Published: 01 August, 2024, 08:46 PM
খামেনির ইমামতিতে তেহরানে জানাযা ইসমাইল হানিয়ার




তেহরান, ১ আগস্ট: হাজার হাজার মানুষের চোখের জলে শেষ বিদায় শহিদ হামাস নেতা ইসমাইল  হানিয়াকে। ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হওয়া হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে বৃহস্পতিবার।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হানিয়ার নামাযে-জানাযায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। বৃহস্পতিবার সকালে  রাজধানী তেহরানে হানিয়ার সঙ্গে তার দেহরক্ষীরও জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ইরানের হাজার হাজার সাধারণ জনগণ।  
হানিয়ার জানাযাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। এসময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা জড়ানো বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে জানাযায় শামিল হন। জানাযা শেষে হানিয়ার লাশ তেহরানের বিখ্যাত আজাদি স্কয়ারে নিয়ে গেলে হানিয়ার কফিনের সঙ্গী হন দেশটির হাজার হাজার জনতা।

জানাযা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহায় স্থানান্তর করা হয় হানিয়ার লাশ। শুক্রবার দোহায় তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দোহার লুসাইল এলাকায় কবরস্থ করা হবে হামাসের প্রভাবশালী এই নেতাকে। কাতারে হানিয়ার জানাযায় বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠীর নেতাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।  
এদিকে বৃহস্পতিবার ইরানের সংসদের স্পিকার মুহাম্মদ বাগের গালিবাফের ভাষণের মাধ্যমে জানাযার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ ইসমাইল হানিয়া সারা বিশ্বের ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি শুধু একজন নেতা ছিলেন না। তিনি জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তেহরানের মাটিতে তাকে হত্যার জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আমাদের জবাব সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় হবে। আমাদের মাটিতে আমাদের অতিথিকে টার্গেট করে গুপ্তহত্যা করা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। 
বুধবার ভোরে ইসরাইলের গাইডেড মিসাইল হামলায় তেহরানে নিজের বাসভবনে দেহরক্ষীসহ নিহত হন হানিয়া। ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ রাস্তায় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই শোকসন্তপ্ত হাজার হাজার মানুষ হানিয়ার ছবিযুক্ত পোস্টার ও ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে সিটি সেন্টারে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে। জানাযার নামাযের পর একটি মিছিল তেহরানের আজাদী (স্বাধীনতা) স্কয়ারের দিকে যায়।
 

Leave a comment