পথে নামলেন মোশাররফ করিম-তিশা, বললেন ‘রক্তপাত চাই না’
‘মধ্যপ্রাচ্য নীতি’ নিয়ে সরগরম মার্কিন রাজনীতি...ট্রাম্প না কমলা, কার পাল্লা ভারি?
বাতিল হাইকোর্টের নির্দেশ, ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে-রায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
গাজা, ২৮ জুলাই: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলের বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গাজার একটি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এই স্কুলেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহ শহরের খাদিজা স্কুলে ইসরাইল বিমান থেকে বোমা ফেলেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ওই স্কুলে হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু ও আটজন নারী রয়েছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, খাদিজা স্কুলের ভেতরে হামাসের একটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ছিল। দাবি, হামাস হামলার নির্দেশনা ও পরিকল্পনা এবং অস্ত্র মজুদ করার জন্য গোপন স্থান হিসাবে ওই ভবনটি ব্যবহার করেছিল। হামলার পর ফুটেজে দেখা যায়, নিহতরা অসামরিক নাগরিক এবং তাদের বেশিরভাগই শিশু। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, স্কুলটি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন খবর মিথ্যা এবং ‘বাস্তুচ্যুত, অসুস্থ এবং আহত মানুষ, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু’ তারা এই হামলায় নিহত হয়েছেন। মোস্তফা রাফাতি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিস্ফোরণে তার শরীর কেঁপে ওঠে এবং তিনি পড়ে যান। ভয় পেয়ে তিনি স্কুলের ভেতরে দৌড়ে যান এবং সেখানে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়ে থাকার মতো ‘ভয়ঙ্কর দৃশ্য’ দেখতে পান। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় চলমান আগ্রাসনে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই বর্বর আগ্রাসনে আহত হয়েছেন। ইসরাইলি হামলার কারণে ২০ লক্ষেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।