পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে স্বাধীনতার মধ্যরাতে ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো শুরু হয় কর্মসূচি। কিন্তু ঠিক রাত ১২ টার পর থেকেই চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। আরজি করে হাসপাতালে চত্বরে ঢুকে পড়ে একদল হামলাকারী। আন্দোলন ভেস্তে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে তারা। ছুঁড়তে থাকে ইট। পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ।
সাড়াশি চাপ! তলব লালবাজারেও, মোট ৬২ ঘণ্টা জেরার পর আজ ফের সিজিওতে সন্দীপ ঘোষ
শুক্রবারের পর ফের আজ সিবিআই দফতরে সন্দীপ ঘোষ, 'আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি', জানালেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ
মেয়েকে ধর্ষণ-খুনে জড়িত সহকর্মীরা, সিবিআইয়ের কাছে সন্দেহ প্রকাশ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের, চিহ্নিত ৩০
কিন্তু প্রথম দিকে কার্যত ওই হিংসাত্মক জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশ। উন্মত্ত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা নিজেরাই আশ্রয় নেয় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভয় পেয়ে যায় হাসপাতালে থাকা নার্স থেকে ডাক্তাররা। আক্রান্ত হতে হয় সংবাদমাধ্যমকে।
স্বাধীনতার মধ্যরাতে নারী স্বাধীনতার জন্য ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল প্রথমে শহরের তিন জায়গায়। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড এবং কলেজ স্কোয়্যার। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল কার্যত গোটা বাংলা।
স্বাধীনতার ঠিক আগের দিক এই রকম এক বিভীষিকার সাক্ষী থাকল কলকাতা। যা কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। কে বা কারা এই হামলা চালালো তা এখনো জানা যায়। তবে পুলিশ দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দল না দেখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এক পৈশাচিক উল্লাস ছিল দুষ্কৃতীদের চোখে মুখে। প্রায় সকলের হাতেই ছিল বাঁশ, লাঠি। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনা কি পূর্ব পরিকল্পিত? এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে তার খবর পুলিশের কাছে থাকল না কেনো? কার্যত পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।