Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন

ময়নাতদন্তে নির্যাতিতার শরীরে মিলেছে ১৫০ মিলিগ্রাম 'সিমেন', মেয়ে গণধর্ষণের শিকার, বিস্ফোরক দাবি ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মায়ের

Bipasha Chakraborty

Published: 14 August, 2024, 05:45 PM
ময়নাতদন্তে নির্যাতিতার শরীরে মিলেছে ১৫০ মিলিগ্রাম 'সিমেন', মেয়ে গণধর্ষণের শিকার, বিস্ফোরক দাবি ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মায়ের

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। আদালতে তাদের দাবি, মেয়ে গণধর্ষণের শিকার। কারণ পোস্টমর্টেম রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে ১৫০ মিলিগ্রাম সিমেন পাওয়া গেছে, যা একজনের থেকে আসা সম্ভব নয়। 
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ বছর বয়সী ধর্ষিতা নির্যাতিতা পড়ুয়ার দেহে পাওয়া গেছে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে 'সিমেন'। ফলে গণধর্ষণ হয়েছে বলে হাইকোর্টে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে তা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করেছে হাইকোর্ট। 
হাইকোর্টে নির্যাতিতার বাবা-মা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধ করা এবং যৌন নির্যাতনের স্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহে একাধিক আঘাত পাওয়া গেছে। নিহতের মাথার বেশ কয়েকটি অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। উভয় কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যার থেকে স্পষ্ট পাশবিক নৃশংসতা রুখতে সে সব রকমভাবে প্রতিরোধ করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তার ঠোঁটে আঘাত ছিল, ধর্ষণের সময় তার মুখ চেপে রাখা হয়েছিল। তার ঘাড়ে কামরানোর আঘাত পাওয়া গেছে। 
ময়নাতদন্তে নির্যাতিতা শরীরে ১৫০ মিলিগ্রাম সিমেন পাওয়া গেছে, ধর্ষণে একাধিক ব্যক্তি থাকার ইঙ্গিত দেয়। আইনজীবী প্রশ্ন করেন, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেনো অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

চিকিৎসকের মৃত্যু হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত। প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষের উপর তীব্র নিন্দা করে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক ঘন্টা পরে ডাঃ ঘোষকে অন্য মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করার জন্য এটি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করা হয়। 

পিটিশনে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি বিশ্বস্ত সূত্রে তাদের কাছে খবর আছে, কমপক্ষে তিনজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাদের অভিযোগ ছিল, তার মেয়ের ময়নাতদন্ত খুব তাড়াহুড়ো করে হয়েছে। তাদের অনুমান কোনও আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 
রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি গতকাল হাইকোর্টে বলেছেন যে বিচারবিভাগীয়র উপস্থিতিতে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেট একজন মহিলা ডাক্তার। সেখানে অভিযুক্তের মায়ের স্বাক্ষরও ছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এড়িয়ে যাওয়ার কোনও বিষয় নেই, পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফ করা হয়েছিল।

Leave a comment