Thu, September 19, 2024

ই-পেপার দেখুন

খুনের পর ধর্ষণ, RG KAR কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Bipasha Chakraborty

Published: 11 August, 2024, 03:01 PM
খুনের পর ধর্ষণ, RG KAR কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  আরজিকর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের অনুমান সম্ভবত আগে খুন, তার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশবিক অত্যাচার করে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই সম্ভবত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। জানা গেছে, প্রমাণ লোপাট করতে এক কর্মকাণ্ডের পরেই নিজের রক্তমাখা জামা কাপড় ছেড়ে ফেলে সঞ্জয় রায়।

এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া এই ঘটনায় আর কারও যোগ মেলেনি, দাবি পুলিশের। তবে অন্য কারুরু জড়িত থাকার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

শুক্রবার হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছে ট্রেনি চিকিৎসকের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেননি পুলিশকে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগে খুন করে তার পর ধর্ষণ বলেই মনে করছে পুলিশ।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসক খুনে গ্রেফতার সঞ্জয় সিভিক ভলান্টিয়ার। আপাতত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ইয়ার ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার হন তিনি।  সিসিটিভি-তে দেখা যায় গলায় ইয়ার ফোন ঝুলিয়ে সেমিনার রুমে ঢুকছেন সঞ্জয়। ৩০ মিনিট পর সেমিনার রুম থেকে ইয়ার ফোন ছাড়াই বেরোন তিনি। অনলাইনে আনানো খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। ওই সময় সিসিটিভি-তে ৪ জনের গতিবিধি ধরা পড়ে। সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সঞ্জয়ের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে।

২০১৯ থেকে কলকাতা পুলিশের ডিএমজিতে কর্মরত সঞ্জয়। মহিলা পুলিশকর্মীদেরও ফোন করে উত্যক্ত করার অভিযোগ সামনে এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মোবাইলেও মিলেছে একাধিক পর্ন ভিডিয়ো। এমনকি পুলিশে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকছিলেন তিনি। ক্রমশ পুলিশের একটি সংগঠনে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন সঞ্জয়। ভবানীপুরে বাড়ি হলেও থাকত উল্টোডাঙায় পুলিশ ব্যারাকে থাকত। নিয়মিত ডিউডিতে যেত না। আগে ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা, পরে চলে যায় পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। লালবাজার সূত্রে খবরদুমাস আগে আরজিকর মেডিক্যালের ইমার্জেন্সির দোতলায় গন্ডগোলে নাম জড়ায় সঞ্জয়ের। অভিযুক্ত মহিলা চিকিৎসককে তিনি চিনতেন। কলকাতা পুলিশের দাবি, আরজি করে কোনও ডিউটি দেওয়া হয়নি সঞ্জয়কে। পুলিশের একটি সংগঠনের তরফে সঞ্জয় আরজিকর মেডিক্যাল ও NRS হাসপাতালে পুলিশের পরিবারের রোগীদের দেখভাল করতেন। সেই সূত্রেই হাসপাতালে ছিল তার যাতায়াত।  

Leave a comment