পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুউচ্চ মূর্তি। দড়ি বেঁধে টান, ধীরে ধীরে পড়ল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্ট্যাচু। সঙ্গে সঙ্গে চলল উল্লাস। প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। ভেঙে ফেলা হল বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের সুউচ্চ মূর্তি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমান্ডির বাড়িতে হত্যা করা হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুজিবুর রহমানকে। তার ঠিক ৫০ বছরের মাথায় সেই মূর্তি ভেঙে হল। উত্তাল পদ্মাপার। বিক্ষোভের আঁচে জ্বলছে বাংলাদেশ।
Breaking: জেল থেকে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া
সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ, প্রয়াত অংশুমান গাইকোয়াড
Breaking: অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতলেন মনু - সরবজিৎ জুটি
বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিল ধানমান্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে। এই বাড়িতেই প্রায় ৫০ বছর আগে নিহত হন তিনি। হাসিনা ৩২-ধানমান্ডিকে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করেন। ধূলিসাৎ মুজিব স্মৃতি। ধানমান্ডির-৩২-এর বাসভবনেই মুজিবুর রহমানের গোটা সপরিবারে তাঁকে হত্যা করা হয়।
মুজিবুর রহমান ছাড়াও সে রাতে খুন হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই আবু নাসের, মুজিব পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, দশ বছরের পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল-সহ আরও বহু মানুষ। প্রাণে বেঁচেছিলেন হাসিনা এবং রেহানা। ওইদিন তাঁরা ছিলেন বিদেশে।
জুলাই মাস থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। চলে গুলি। মৃত্যু হয় ৪০০' র বেশি মানুষের। তার মধ্যে কিশোর থেকে শিশুরা। কয়েকদিনের আন্দোলন-সংঘর্ষ-মৃত্যুর পর বাংলাদেশের হাইকোর্ট কোটায় আমূল সংস্কার আনে। তারপরে কয়েকদিন আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হলেও, উত্তপ্ত হয় বাংলাদেশ। শুরু হয় হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন। টালমাটাল পরিস্থিতে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। গতকাল সেনার নিরাপত্তায় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে দেশ ছাড়েন হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন তার বোন রেহানা।
শনিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল রবিবার থেকে চলবে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফের ঘনীভূত হওয়া আন্দোলনকে ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণভবনে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
তবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে শনিবারই নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, রবিবার থেকে সারাদেশ জুড়ে শুরু হবে সর্বাত্মক অসহযোগ। কার্যত স্পষ্ট ছিল, ফের মুখোমুখি হতে চলেছে সরকার পক্ষ এবং বিক্ষোভকারীদের পক্ষ। রবিবারের আন্দোলনে দেশজুড়ে নিহত হন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় সোমবার। লং মার্চ টু ঢাকার উদ্দেশে জমায়েত হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের। জায়গায় জায়গায় শুরু হয় সংঘর্ষ।