পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিশ্চিন্ত আর থাকা গেল না, বর্ষা শুরু হতে না হতেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মালদহ, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাড়ছে সংক্রমণ। বিগত ৯ দিনে ৬ শিশুর দেহে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। তাদের মধ্যে দুজন কলকাতার বাসিন্দা। আক্রান্ত একজনকে কলকাতার পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিশুটিকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রোগটি কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় আর সীমাবদ্ধ নেই। কারণ আক্রান্তদের মধ্যে কেউ হাওড়ার বাসিন্দা, কেউ কলকাতার এন্টালি, হালতুর বাসিন্দা। এন্টালি ও হালতুতে দুই শিশু বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত বলে খবর।
চলতি বছরেরই জুন মাসে ৪ বছরের এক শিশুর শরীরে মিলেছিল এইচ ৯ এন২ বার্ড ফ্লু ভাইরাস। তিন মাস বাদে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই শিশু অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। সূত্রের খবর, কলকাতায় এসে তার শরীরে এইচ৯এন২ ভাইরাস বাসা বেঁধেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছনোর পর জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। পরীক্ষার পর বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে। ভর্তির প্রায় তিন মাস পরে শিশুটি সুস্থ হয়ে ওঠে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, 'হু'।
চিকিৎসকদের মতে, ১৯৯৭ সালে প্রথম মানুষের শরীরে পাওয়া যায় বার্ড ফ্লু। মৃত পাখির সংস্পর্শে আসার পর এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের মধ্যে। করোনার মতোই এই ভাইরাস খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। উপসর্গ প্রায় অনেকটা একই রকম। ইতিমধ্যেই ভারতের অন্তত চারটি রাজ্য, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কেরল এবং ঝাড়খন্ডে পাওয়া গেছে বার্ড ফ্লু - এর প্রভাব। এই রাজ্যগুলির পোল্ট্রির মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে গেছে এই সংক্রমণটি। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।