ঢাকা, ২০ জুলাই: কোটা বিরোধী আন্দোলনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকাসহ সারা দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। রাজধানী ছাড়াও দেশের ৪৭টি জেলায় গতকাল দিনভর বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ-সংঘর্ষে মৃত্যুমিছিল দেখছে দেশ। কোটা বিরোধী আন্দোলনে এপর্যন্ত ১০৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ পাওয়া খবরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ জনে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে জারি হয়ে হয়েছে কার্ফু। সারাদেশ এখন সেনার আওতায়। দু'পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড়।
অন্যদিকে, চলমান সহিংসতার জেরে প্রায় ২৪৫ জন ভারতীয় নাগরিক শুক্রবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত পয়েন্টগুলি গিয়ে দেশে (ভারত) ফিরেছে। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সে দেশের 'অভ্যন্তরীণ' বিষয় বলে মন্তব্য করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ভারত পড়শী বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলে জানানো হয়। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, আট হাজার পড়ুয়া-সহ প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয় বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। তাঁরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "আপনারা অবগত আছেন, বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। আমরা এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে দেখছি। বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় পড়ুয়াসহ নাগরিকদের জন্য তাদের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনে সহায়তার জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছি। হেল্পলাইন নম্বরগুলি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে আমাদের নাগরিকদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন জয়সওয়াল।