পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রক্তাক্ত বাংলাদেশ। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে জোরালো হচ্ছে আন্দোলন। পুলিশ-পড়ুয়া সংঘর্ষে বাড়ছে মৃতের তালিকা। তবে সরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা ৩৯। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৭৯। আহত গণনাতীত। কমপ্লিট শাটডাউনে স্তব্ধ বাংলাদেশ। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির খবরও সময় মতো পৌঁছচ্ছে না মানুষের কাছে। নিহতের তালিকায় রয়েছে এক নাবালক। নরসিংহী জেলখানা মোড়ে কোটা আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাহমিদ নামে এক নবম শ্রেণির ছাত্রের। তাহমিদ নরসিংদী নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস (এনকেএম) নবম শ্রণির ছাত্র ছিল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টের দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টে নাগাদ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংহীর জেলমোড় এলাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতা জমায়েত হতে শুরু করে। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাধে ছাত্রদের। দফায় দফায় সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস, গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।
জাল ওষুধের কারবার দেশজুড়ে! অ্যান্টিবায়োটিকে মেশানো হচ্ছে ট্যালকম পাউডার ও স্টার্চ
নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল, এবার উর্দির সঙ্গে হিজাব পরতে পারবেন বাংলাদেশ সেনার সদস্যরা
হাজী নুরুলের দাফনে বসিরহাট সহ জেলার সব রাস্তা যেন মিশে গেল বহেড়ার গ্রামে
পুলিশের ছোঁড়া তাহমিদের বুকে এসে লাগে। তখন সহপাঠীরা তাকে দ্রুত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। তাহমিদের দেহ নিয়ে মহাসড়কে ফের অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্র-জনতা। ফের পুলিশের ছোঁড়া গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে প্রায় শতাধিক ছাত্র আহত হয়। এদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত তাহমিদ নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর গ্রামের ডা. রফিকুল ইসলামের ছেলে।