ঢাকা, ১৮ জুলাই: কোটা বিরোধী আন্দোলন তীব্র হচ্ছে বাংলাদেশজুড়ে। বিক্ষোভের আগুনে চলছে রাজধানী। দফায় দফায় পুলিশ-পড়ুয়া সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমান বলেছেন, চারজনের মধ্যে দু'জন পড়ুয়া। বাকি দু'জনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এদিকে উত্তরায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দু'জনের নিহত হয়েছে। তাঁদের একজনকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই মৃত্যু হয়েছে। অপরজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মারা যান। দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে উত্তরায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এছাড়া রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক পড়ুয়া, রামপুরায় একজন, সাভারে একজন ও মাদারীপুরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
নির্বিচারে বোমাবর্ষণ ইসরাইলের, গাজায় ৪ দিনে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২ লক্ষ: রাষ্ট্রসংঘ
হিন্দু দোকানে 'নো হালাল ফুড' লেখা সাইনবোর্ড ঘিরে বিপত্তি
বাংলাদেশের বন্যার জন্য ভারত দায়ী নয়, স্পষ্ট বিবৃতি কেন্দ্র সরকারের
বৃহস্পতিবার দফায় দফায় উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সকালে আন্দোলনকারীরা উত্তরার আজমপুর বাস স্ট্যান্ডের দিকে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, বিএসএস সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। দলভারী করে আন্দোলনকারীরা বিএনএস সেন্টারের দিকে এগুতে থাকলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা উত্তরার জমজম টাওয়ার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। জমজম টাওয়ার থেকে মিছিল নিয়ে বিমানবন্দর মহাসড়কের আজমপুরে এলে পুলিশ পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। অপরদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে পড়ুয়ারা। এদিকে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাজলা ও শনির আখড়া, বাড্ডা, রামপুরা, মিরপুর-১০, প্রগতি সরণি এলাকায় কোটা সংষ্কার আন্দোলনে পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।