পুলিশের তৎপরতায় লুকিয়ে থাকার তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার কুলতলির সাদ্দাম, আজই আদালতে পেশ
Bipasha Chakraborty
Published: 18 July, 2024, 01:49 PM
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : পুলিশের তৎপরতায় লুকিয়ে থাকার তিনদিনের মধ্যে অবশেষে গ্রেপ্তার কুলতলি নকল সোনার কারবার ও সুড়ঙ্গ কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দার। পুলিশের জালে পড়েছে তাঁর এক সঙ্গীও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বুধবার রাতে কুলতলির চুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি ভেড়ির ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাদ্দামকে।পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিআইএম নেতা মান্নান খানকে ও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হল।আজই সাদ্দাম কে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কুলতলির জালাবেড়িয়া-২ নং পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাদ্দামের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ আসছিল পুলিশের কাছে। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত সোমবার সকালে সাদ্দামের পয়তারহাটের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ।সাদ্দামকে ধরে ও ফেলে তাঁরা। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম এবং সাইরুল। অভিযুক্তের বাড়ির খাটের নিচেতে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়ে যায়।
পুলিশ আসলে যাতে খবর পেয়েই দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে তাঁর জন্য বাড়ির খাটের নিচেতে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল সাদ্দাম। সুড়ঙ্গটির মুখ পার্শ্ববর্তী একটি খালের সাথে সংযুক্ত করা আছে।উল্লেখ্য,কুলতলির জালাবেড়িয়া-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল নকল সোনার রমরমা কারবার। শুধু নকল সোনা নয়, সোনার মূর্তি চুরি করে এনে এখান থেকে বিক্রিও করা হতো।
কখনও কখনও মানুষকে ফাঁদে ফেলে মূর্তি বিক্রির নামে সর্বস্বান্ত করা হতো ক্রেতাদের। শুধু তাই নয় এর আগেও এক ব্যক্তিকে খুন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই সব মূর্তি চোর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা।আর এসব কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সাদ্দামের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ।