উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : গ্রামে গ্রামে কঠিন, তরল ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশনের করার ইউনিট তৈরি হয়েছে। কিন্তু যে সব খারাপ বা পুরনো বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পড়ে রয়েছে, সেগুলির কী হবে। এইসব সরঞ্জামের জন্যই সোনারপুরে রাজ্যের প্রথম বৈদ্যুতিন বা ই-বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট চালু হতে চলেছে। বাম আমলে চালু হওয়া হার্ডওয়্যার পার্কে রাজ্য সরকারের টাকায় এই নয়া ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অবশ্য অনেক আগেই হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ এখনও সেভাবে শুরু হয়নি।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম যেমন টিভি, মোবাইল,কম্পিউটার ইত্যাদি সংগ্রহ করে এখানে আনা হবে। সেগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার চেষ্টা হবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। প্রতিদিন ৬ মেট্রিক টন বর্জ্য পুনর্বব্যবহারযোগ্য করে তোলার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য সরকার জমি ও টাকা দিলেও মেশিন ও অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তাদের সঙ্গে সাত বছরের চুক্তি হয়েছে রাজ্যের। বিভিন্ন জায়গা থেকে বৈদ্যুতিন সামগ্রী সংগ্রহ করে এখানে আনা হবে। সেখানে মূলত তিনটি কাজ করা হবে। বিভিন্ন সরঞ্জাম পৃথকীকরণ করবেন কর্মীরা, তারপর ধাতু বা অন্যান্য সামগ্রী বের করা হবে মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি থেকে।শেষে সেগুলিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজ করা হবে।
বেসরকারি সংস্থা এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকলেও এই নিষ্কাশন ইউনিট থেকে রাজ্যের আয় হবে বলে জানা গেল।রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার এক আধিকারিক বলেন, প্রকল্পটি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের হলেও, ওয়েবেলের তত্ত্বাবধানে তা কার্যকর করা হবে।
১০.৭২ একর জমি বিশিষ্ট পার্কে বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গাই খালি পড়ে রয়েছে। একটি মাত্র ব্যাটারি প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের বিল্ডিং তৈরি করেছে। হার্ডওয়্যার পার্কের এই বিপুল এলাকা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।তাই সেই জায়গায় গড়ে উঠবে ই বর্জ্য প্লান্ট।