দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: থ্রেট কালচার, বহিরাগত চিকিৎসকদের দাদাগিরি সহ পরীক্ষায় মার্কসে কারচুপির অভিযোগে জুনিয়র চিকিৎসকেরা চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যভবনের মেডিক্যাল এডুকেশনের আধিকারিককে এবং রাজ্যসরকারের মুখ্য স্বাস্থ্যসচিবকে।
পঞ্চাশের অধিক জুনিয়র চিকিৎসকেরা মূলত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ করবী বড়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মেডিক্যাল কলেজে যোগদান করার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার শুরু হয়েছে। অধ্যক্ষ, বহিরাগত চিকিৎসক ড. অভিক দে, ড. অনিকেত গাঙ্গুলী এবং মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ইউনিটের সমর্থনে এই থ্রেটকালচার বেড়েছে।
আভিযোগ, চিকিৎসক অভিক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসেরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূল ছাত্র ইউনিটের সদস্য জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষপাতিত্ব করে তাদের মার্কস বৃদ্ধি করে পরীক্ষার ফলাফলে কারসাজি বা দুর্নীতি করছেন।
বহিরাগত চিকিৎসকের দাপট বেড়েছে এই অধ্যক্ষের আমলে। চিকিৎসক অভিক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অনিকেত গাঙ্গুলী, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌরভ পালদের মতো বহিরাগত চিকিৎসকদের মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রবেশ অধিকারের সুবিধা করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ স্বয়ং।
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, যে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকেরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে, তাদের মানসিকভাবে এবং পরীক্ষায় ফলাফলে কারসাজি করছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে এই দাবি তুলে মেইল মারফত বিভিন্ন দফতরে এই চিঠি দেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা।