দেবশ্রী মজুমদার, তারাপীঠ: শনিবার তারাপীঠে টি আর ডি এ অফিসে অস্থায়ীভাবে দমকল বিভাগের উদ্বোধন হলো। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ডিরেক্টর অভিজিৎ পাণ্ডে, সিউড়ি, রামপুরহাট শহরে আধিকারিকরা এবং ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে এবং বোলপুর সাংসদ অসিত মাল প্রমুখ ।
এদিন ফিতে কেটে উদ্বোধন করলেন ডেপুটি স্পীকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিরেক্টর অভিজিৎ পাণ্ডে।
জানা গেছে, দুটি ফায়ার পাম্প বিশিষ্ট স্থায়ী দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠবে শুধুমাত্র তারাপীঠের জন্য।তার স্থায়ী জায়গা তারাপীঠ ঢোকার মুখে চিলেগোনা ব্রীজের কাছে। সমস্ত কিছুই বর্তমানে পূর্তবিভাগের অধীনে আছে। দমকল বিভাগের কাছে হস্তান্তর হলেই ওখানে স্থায়ী ভাবে দমকল কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে।
বর্তমানে অস্থায়ীভাবে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে এই দমকল কেন্দ্রের দফতর খোলা হলো। সেখানে আপাতত একটি পাম্প বিশিষ্ট অগ্নিনির্বাপনী গাড়ি সব সময়ের জন্য থাকবে। এদিন বিভাগীয় আধিকারিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ পাণ্ডে বলেন, ফাণ্ডের কোনো অসুবিধা নেই। সবকিছু রেডি আছে।
তারাপীঠে 330 নং প্লট পূর্ত দফতরের কাছ থেকে হস্তান্তর হলেই স্থায়ীভাবে ওখানে দমকল কেন্দ্র হবে। আপাতত একটি পাম্প বিশিষ্ট অগ্নিনির্বাপনী যন্ত্র স্ট্যাণ্ডবাই টি আর ডি এ অফিসে থাকবে।
ইতিমধ্যে, দুবরাজপুরে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সাঁইথিয়ায় দমকল কেন্দ্র হয়েছে। নলহাটির লোহাপুরে, মুরারই, লাভপুর ও তারাপীঠে দমকল কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব রয়েছে।
জানা গিয়েছে, তারাপীঠে দুই পাম্প বিশিষ্ট দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তার জন্য দরকার ১০-১২কাঠা জমি। সেই জমি এখন পূর্ত দফতর হস্তান্তর করার অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, তারাপীঠে কয়েকশো হোটেল, নিত্যদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী এই সিদ্ধপীঠে আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু, এখানে কোনও দমকল কেন্দ্র না থাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ড বা বিপর্যয় ঘটলে সাত- আট কিলোমিটার দুরে রামপুরহাটে থাকা দমকল কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। অত দূর থেকে দমকলের গাড়ি আসতে সময় লাগায় অগ্নিকাণ্ড ভয়বাহ আকার ধারণ করে।
এছাড়া কোনও পূণ্যার্থী দ্বারকার জলে ডুবে গেলে তাঁকে উদ্ধারে সময় লেগে যায়। তারাপীঠে প্রায় চারশো হোটেল। তারাপীঠে স্থায়ী দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠলে হঠাৎ কোনো দূর্ঘটনা খুব তাড়াতাড়ি সামলানো যাবে।
সাম্প্রতিক কালে তারাপীঠে পুজো দিতে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এখনই একটি অস্থায়ী দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়ে যান। পরে পূর্ণাঙ্গ আকারে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার উপর জোর দেন। এদিন সেই কাজ সম্পূর্ণ হলো।
ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানান