২০২২ সালের ১১ আগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। পরে ইডিও হেফাজতে নেয়। দীর্ঘ দুবছরের বেশি সময় ধরে জেলে থাকার পর মুক্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমের তারাপীঠ থানার কড়কড়িয়ায় জনসভায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ভোটের পরেই ছাড়া পাবেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর অনুব্রতর মুক্তি কামনায় জেলা জুড়ে পুজো, যজ্ঞ হয়েছিল।
১৪ সেপ্টেম্বর মুরারইয়ে হনুমান মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য প্রদীপ ভকত। সেদিনই তাঁরা জানিয়েছিলেন এবার জামিন পাবেন অনুব্রত। তাদের কামনা পূরণ হল বলে দাবি করেছেন প্রদীপ ভকত। অনুব্রতর জামিন পাওয়ার খবর আসতেই মুরারইয়ে আবির খেলেন দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। বিলি করা হয় লাড্ডু।
প্রদীপ ভকত বলেন, “ঈশ্বর সঠিক বিচার করেছেন। অহেতুক আমাদের নেতাকে তিহার জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। আমরা এতদিনে বিচার পেলাম”।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। এখনও হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। বিচারের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে”।
তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “ইডি, সিবিআই বিজেপির তোতা পাখির মতো কাজ করে গিয়েছে। বিচারের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা খুশি”।