পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জিয়া আরফানেজ ট্রাস্টের কোনও অর্থ আত্মসাৎ হয়নি। শুধুমাত্র ফান্ডটা মুভ হয়েছে। সুদ সহ পুরো টাকাটা অ্যাকাউন্টেই আছে। রবিবার সংশ্লিষ্ট মামলার বাংলাদেশের শীর্ষ আদালতকে এমনটাই জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আসিফ হাসান।
এদিনের শুনানিতে আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেন, এই ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।
বহুল আলোচিত জিয়া আরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সাজা ভোগ করেছেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দু’টি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে কারাভোগ করেন দুই বছর।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়। পরে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট । সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি হয় রবিবার। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী জানান, নথিপত্র অনুযায়ী ট্রাস্টের দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে ঠিকই কিন্তু কেউ তা আত্মসাৎ করেনি।
এদিকে এ মামলায় সোমবার লিভ টু আপিলের আদেশের দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সংশ্লিষ্ট মামলায় ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে প্রথমে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া আপিল আবেদন করলে আরও সাজা আরও ৫ বছর বর্ধিত করে হাইকোর্ট। কোনও অনিয়ম না হলেও কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই দুর্ভোগ।
1 Comment
Pingback: ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, পাক রাস্তায় হাজারো সমর্থক – Puber Kalom – Bengali News Daily