৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড্রাগ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি, সংসদে সরব অমিত শাহ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 17

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার দেশে ড্রাগের ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বেআইনি ব্যবসা করে কেউ কেউ প্রচুর টাকা উপার্জন করে সেই অর্থ সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে ব্যবহার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। পঞ্জাবে ড্রাগ মাফিয়াদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য। এছাড়া এইসব ড্রাগ মাফিয়ারা অনেক সময় সন্ত্রাসী কাজকর্মেও যুক্ত থাকে।

 

নাম উল্লেখ না করে তাদেরকেই তিনি একহাত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে খালিস্তানপন্থীদের নিয়ে কেন্দ্র সরকার বরাবরই সরব। অমিত শাহ নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ধরনের বিষয়গুলি তারই নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত। দেশে যদি সন্ত্রাস বেড়ে যায়, তবে তার দায় কার? ড্রাগ সেবন করে নয়া প্রজন্ম ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। অমিত শাহ এ কথা বলছেন।

 

কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করতে তার সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, উঠছে প্রশ্ন। এদিন পার্লামেন্টে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এ নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। তবে শাহ কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। উলটে রেগে যান। ভাষণের সময় সৌগত রায় অমিত শাহ’র বক্তব্যের বিরোধিতা করছিলেন। অমিত শাহ প্রথমে সৌগত রায়কে বলেন, তাঁর কথা শেষ হলে মন্তব্য করার জন্য। সৌগত রায় অমিত শাহ’র কথা না শোনায় প্রথমে অমিত শাহ নিজের সিটে বসে পড়েন এবং সৌগত রায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘দাদা আপনি আগে বলে নিন।’

 

এরপর সৌগত রায় চুপ করে যান। অমিত শাহ আবার বলা শুরু করলে সৌগত রায় তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। এবার মেজাজ হারিয়ে অমিত শাহ বলেন, এই বয়সে আপনার এমন অচরণ মানায় না। নেশা প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ড্রাগ এবং অন্যান্য নেশা দ্রব্য বর্তমান প্রজন্মকে  বিপথগামী করছে। এই চক্রে অর্জিত টাকা দেশে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।

 

বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ভাষণ দিতে উঠে ড্রাগ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা ব্যক্ত করেন অমিত শাহ। তার দাবি, ড্রাগ ইস্যু নিয়ে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোনও দেশের নাম না উল্লেখ করেই তিনি বলেন, যেসব দেশ ড্রাগের মুনাফাকে আমাদের দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টিতে কাজে লাগাচ্ছে তাদেরকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ড্রাগ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি, সংসদে সরব অমিত শাহ

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার দেশে ড্রাগের ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বেআইনি ব্যবসা করে কেউ কেউ প্রচুর টাকা উপার্জন করে সেই অর্থ সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে ব্যবহার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। পঞ্জাবে ড্রাগ মাফিয়াদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য। এছাড়া এইসব ড্রাগ মাফিয়ারা অনেক সময় সন্ত্রাসী কাজকর্মেও যুক্ত থাকে।

 

নাম উল্লেখ না করে তাদেরকেই তিনি একহাত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে খালিস্তানপন্থীদের নিয়ে কেন্দ্র সরকার বরাবরই সরব। অমিত শাহ নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ধরনের বিষয়গুলি তারই নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত। দেশে যদি সন্ত্রাস বেড়ে যায়, তবে তার দায় কার? ড্রাগ সেবন করে নয়া প্রজন্ম ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। অমিত শাহ এ কথা বলছেন।

 

কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করতে তার সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, উঠছে প্রশ্ন। এদিন পার্লামেন্টে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এ নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। তবে শাহ কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। উলটে রেগে যান। ভাষণের সময় সৌগত রায় অমিত শাহ’র বক্তব্যের বিরোধিতা করছিলেন। অমিত শাহ প্রথমে সৌগত রায়কে বলেন, তাঁর কথা শেষ হলে মন্তব্য করার জন্য। সৌগত রায় অমিত শাহ’র কথা না শোনায় প্রথমে অমিত শাহ নিজের সিটে বসে পড়েন এবং সৌগত রায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘দাদা আপনি আগে বলে নিন।’

 

এরপর সৌগত রায় চুপ করে যান। অমিত শাহ আবার বলা শুরু করলে সৌগত রায় তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। এবার মেজাজ হারিয়ে অমিত শাহ বলেন, এই বয়সে আপনার এমন অচরণ মানায় না। নেশা প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ড্রাগ এবং অন্যান্য নেশা দ্রব্য বর্তমান প্রজন্মকে  বিপথগামী করছে। এই চক্রে অর্জিত টাকা দেশে সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে।

 

বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ভাষণ দিতে উঠে ড্রাগ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা ব্যক্ত করেন অমিত শাহ। তার দাবি, ড্রাগ ইস্যু নিয়ে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোনও দেশের নাম না উল্লেখ করেই তিনি বলেন, যেসব দেশ ড্রাগের মুনাফাকে আমাদের দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টিতে কাজে লাগাচ্ছে তাদেরকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।