Neja Mela: ঐতিহাসিক নেজা মেলার অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন

- আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 178
লখনই, ১৮ মার্চ: ঐতিহাসিক নেজা মেলার অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন। প্রতিবছর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সৈয়দ সালার মাসুদ গাজির প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর স্মৃতিতে এই মেলা হয়ে থাকে। এবছরও মেলার করার প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ অনুমতি চেয়েছিল কমিটি। সোমবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, আক্রমণকারীদের মহিমান্বিত করে এমন কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেবে না প্রশাসন। আরও স্পষ্ট করে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শিরীষ চন্দ্র বলেছেন, সৈয়দ সালার মাসুদ গাজীর সম্মানে সম্ভলে ঐতিহ্যগতভাবে অনুষ্ঠিত বার্ষিক নেজা মেলার অনুমতি দেওয়া যাবে না। কারণ তিনি একজন আক্রমণকারী ছিলেন।
প্রতিবছর এই মেলা হলেও এতদিন কোনও বাঁধা পেতে হয়নি মেলা কমিটিকে। তবে এবার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় মেলা করা নিয়ে আপত্তি জানান। এমনকি পুলিশকে তারা লিখিতভাবে অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই যোগী পুলিশ ওই মেলায় অনুমতি দেয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সালার মাসুদ গাজী জাতির ক্ষতি করেছেন এবং এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করা ঠিক হবে না।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এএসপির অফিসে অনুষ্ঠানের অনুমতি চাইছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এএসপি শিরীষ চন্দ্রের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা। এরপর তাদের এএসপি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রশাসন কোনও আক্রমণকারীকে সম্মান জানিয়ে কোনও উৎসবের অনুমতি দেবে না। যারা সোমনাথকে লুঠ করেছিল তার স্মৃতিতে অনুষ্ঠান করা যায় না। শিরীষ চন্দ্র দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, “লুটেরার নামে কোনো স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে না। কেউ করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এএসপি আরও বলেন, “যারা দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে তাদের যারা সমর্থন করে তারা বিশ্বাসঘাতক থেকে আলাদা নয়। কেউ যদি মনে করেন এমন ব্যক্তির সম্মান ও উৎসব প্রাপ্য, তাহলে তিনিও দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এটা কোনো ঐতিহ্য নয়; অজ্ঞতাবশত এই প্রথা চলিতেছে। কিন্তু এখন যদি কেউ জেনেশুনে মেলা চেষ্টা করে তাহলে তারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই তা করছে।”
এএসপির এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুসলিমরা। তাদের বক্তব্য, পুলিশ সুপার সম্পূর্ণ পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। তিনি গাজীর অপমান করেছেন। একটি শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যকে এভাবে বন্ধ করা উচিত নয়। উল্লেখ্য, এর আগে মেলা কমিটির সদস্যরা এসডিএম ডাঃ বন্দনা মিশ্রের কাছেও অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়েছিলেন। তিনিও অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন।