পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজ ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস। এই নিয়ে ১২তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য #VeiledInStrength অর্থাৎ শক্তিতে আবৃত। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের ১৯০টির বেশি দেশে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। এটি এমন একটি দিন, যেদিন মুসলিম ও অমুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান করে একদিন কাটানোর আহ্বান জানানো হয়। যাতে তারা বুঝতে পারেন হিজাব পরিধানকারী নারীদের অভিজ্ঞতা কেমন।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান। নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পর থেকেই হিজাব পরা শুরু করেন তিনি। কিন্তু হিজাব পরার পর থেকে নানা ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের মুখোমুখি হন তিনি।২০১৭ সালে ইউ ইয়র্ক রাজ্য ১ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব হিজাব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পরে ২০২১ সালে ফিলিপাইন ১ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় হিজাব দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
২০১৭ সালে, নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্ব হিজাব দিবস ঘোষণা করেন নাজমা। সেসময় তিনি থেরেসা মে হাউস অব কমন্সে এই অনুষ্ঠানের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে, ফিলিপাইনের প্রতিনিধি পরিষদ ১ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় হিজাব দিবস হিসেবে মনোনীত করে যাতে ইসলামিক ঐতিহ্যকে আরও ভালোভাবে বিশ্ব বুঝতে পারে এবং গ্রহণ করতে পারে।
এছাড়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা এই দিবসের উদ্দেশ্য। মুসলিম নারীরা প্রায়ই হিজাব পরার কারণে বৈষম্যের শিকার হন। এই দিনটি তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলে। এটি ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে, যাতে অমুসলিম নারীরা মুসলিম নারীদের অনুভূতি ও জীবনধারাকে বুঝতে পারেন।