পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মহিলা কর্মীর সংখ্যা । সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনটাই তথ্য উঠে এল। ‘আপনা কো’ নামে একটি চাকরির প্ল্যাটফর্ম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তাদের প্ল্যাটফর্মে সর্বসাকুল্যে ৭ কোটি মানুষ চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। যার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ২.৮ কোটি। যা বিগত বছরের আবেদনের হারের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
রিপোর্ট মোতাবিক, মহিলাদের চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে এগিয়ে দিল্লি-এনসিআর, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বাইয়ের মতো রাজ্যগুলি। যেখানে ২০২৪ সালে ১.৫২ কোটি নারী চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। অন্যদিকে জয়পুর, লখনউ এবং ভোপালের মতো মতো রাজ্যে ১.২৮ কোটি মহিলা চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদের মতো শহুরে কেন্দ্রগুলিতে ৬০ লক্ষ মহিলা চাকরির আবেদনের করেছে যেখানে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং বিহারের মতো অঞ্চলগুলি ৮২ লক্ষ।
পূর্বের তুলনায় সিনিয়র এবং ম্যানেজারিয়াল ভূমিকার জন্য মহিলাদের চাকরির আবেদন ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা দেশে নতুন যুগের সূচনা বলেও মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, খুচরা এবং ই-কমার্সের মতো সেক্টর জুড়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে মহিলারা। এমনকি ফিল্ড সেলস, লজিস্টিকস এবং নিরাপত্তা পরিষেবায় শক্ত খুঁটি পুতেছে মেয়েরা।
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় আইনের চোখে সমানতা, ১৫ নম্বর ধারায় লিঙ্গ ভেদে সমান স্বাধীনতা, ১৬ নম্বর ধারায় চাকরির সমানতা, ১৯ নম্বর ধারায় স্বাধীনতার অধিকার, ৪২ ধারায় যথাযথ কাজের পরিবেশ ও মাতৃত্বকালীন সুবিধার অধিকার, ৩২৬ ধারায় ভোটাধিকার প্রভৃতি বিধি নিয়মের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কলা-কৌশলে একবিংশ শতাব্দীতেও মহিলাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক ভাবার প্রবণতা ম্লান হয়নি। আসলে ক্ষমতায়নের বিবিধ পন্থা থাকলেও দেশে এমন এক সামাজিক ব্যবস্থা রয়েছে যা প্রকৃত ক্ষমতায়নের পথে বাধাস্বরূপ বলে মনে করছে মহিলাদের একাংশ।