৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণবঙ্গে কবে বৃষ্টি! কি জানালো আবহাওয়া দফতর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 7

পুবের কলম প্রতিবেদক: টানা ৫৬ দিন প্রখর তাপে পুড়ছে রাজ্য। এই অবস্থায় একটাই প্রশ্ন সকলের, বৃষ্টি কবে হবে! তবে এই ব্যাপারে আশার বাণী শোনাতে পারল না আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আরও দু-দিন চলবে তাপপ্রবাহ। শুক্রবারের আগে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, কলকাতায় এপ্রিল মাসে আর বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এই তাপপ্রবাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে কি কি করণীয় এবং কী করণীয় নয়, সে বিষয়ে মঙ্গলবার সতর্কতা জারি করে রাজ্য সরকার।

দক্ষিণবঙ্গে কবে বৃষ্টি! কি জানালো আবহাওয়া দফতর

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে। এই কদিন গরম আরও বাড়বে। কলকাতাতেও তাপপ্রবাহের মতন পরিস্থিতি থাকবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,  ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান,  পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম এই জেলাগুলিতে গরমের দাপট থাকবে সবচেয়ে বেশি। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।

তবে, আগামী ক’দিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার,  কোচবিহার,  জলপাইগুড়ি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। সপ্তাহান্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম সহ কয়েকটি জেলায়। তবে কলকাতায় মে মাসের ৩ থেকে ৪ তারিখের আগে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

বর্তমানে কলকাতার পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে রাজ্যে ঢুকছে গরম ও শুকনো হাওয়া। তার জেরেই পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। এই অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। রাজ্যে ইতিমধ্যেই গরমের বলি হয়েছে এক স্কুল পড়ুয়া। এরপরেই তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের তরফে সতর্কতা মূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে প্রত্যেকটি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে৷ তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কী করণীয়,  কী করণীয় নয়,  তার উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের তরফে লিফলেটও ছাপানো হয়েছে৷ বিভিন্ন জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সেই লিফলেট পাঠানো হচ্ছে৷ পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও কী করণীয়,  তাও জানানো হয়েছে লিফলেটে৷ মূলত খুব প্রয়োজন ছাড়া দুপুরে বাইরে বের হতে নিষেধের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে কী করণীয়:

তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল পান করতে হবে৷ সবসময় পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে৷

দিনের বেলা বাইরে বেরোলে হাল্কা রংয়ের,  ঢিলেঢলা পোশাক পরুন৷

টুপি বা কাপড়,  তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে৷ সঙ্গে ছাতা রাখুন,  পায়ে জুতো অথবা চটি পরে তবেই বাইরে বেরোন৷

হাল্কা এবং জলীয় অংশ আছে যেমন তরমুজ, শশার মতো ফল বেশি করে খেতে হবে৷

বাড়িতে তৈরি লেবুজলের মতো পানীয় পান করুন৷

গৃহপালিত পশুদের ছায়ায় রাখুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ান৷

স্থানীয় আবহাওয়ার বার্তার দিকে খেয়াল রাখুন৷

অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন৷

 

কী করবেন না:

যতদূর সম্ভব প্রখর সূর্যালোকে না বেরনোর চেষ্টা করুন৷

খুব পরিশ্রমসাধ্য, দিনের বেলা এমন কাজ না করাই ভাল৷

দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে শিশু ও গৃহপালিত পশুদের রাখবেন না৷

বেশি প্রোটিনযুক্ত বা মশলাদার খাবার খাবেন না৷

 

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কী করবেন?

 

আক্রান্তকে সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভিতরে বা ছায়া রয়েছে এমন ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান৷

ভিজে কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দিন৷

লবণ জল, নুন- চিনির জল, ওআরএস খাওয়াতে থাকুন৷ তবে সম্পূর্ণ জ্ঞান ফেরার পরই খাবার বা জল দেওয়া যাবে আক্রান্তকে৷

অবস্থার উন্নতি না হলে আক্রান্তকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে৷

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দক্ষিণবঙ্গে কবে বৃষ্টি! কি জানালো আবহাওয়া দফতর

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: টানা ৫৬ দিন প্রখর তাপে পুড়ছে রাজ্য। এই অবস্থায় একটাই প্রশ্ন সকলের, বৃষ্টি কবে হবে! তবে এই ব্যাপারে আশার বাণী শোনাতে পারল না আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আরও দু-দিন চলবে তাপপ্রবাহ। শুক্রবারের আগে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, কলকাতায় এপ্রিল মাসে আর বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এই তাপপ্রবাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে কি কি করণীয় এবং কী করণীয় নয়, সে বিষয়ে মঙ্গলবার সতর্কতা জারি করে রাজ্য সরকার।

দক্ষিণবঙ্গে কবে বৃষ্টি! কি জানালো আবহাওয়া দফতর

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে। এই কদিন গরম আরও বাড়বে। কলকাতাতেও তাপপ্রবাহের মতন পরিস্থিতি থাকবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,  ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান,  পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম এই জেলাগুলিতে গরমের দাপট থাকবে সবচেয়ে বেশি। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।

তবে, আগামী ক’দিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার,  কোচবিহার,  জলপাইগুড়ি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। সপ্তাহান্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম সহ কয়েকটি জেলায়। তবে কলকাতায় মে মাসের ৩ থেকে ৪ তারিখের আগে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

বর্তমানে কলকাতার পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে রাজ্যে ঢুকছে গরম ও শুকনো হাওয়া। তার জেরেই পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। এই অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। রাজ্যে ইতিমধ্যেই গরমের বলি হয়েছে এক স্কুল পড়ুয়া। এরপরেই তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের তরফে সতর্কতা মূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে প্রত্যেকটি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে৷ তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কী করণীয়,  কী করণীয় নয়,  তার উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের তরফে লিফলেটও ছাপানো হয়েছে৷ বিভিন্ন জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সেই লিফলেট পাঠানো হচ্ছে৷ পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও কী করণীয়,  তাও জানানো হয়েছে লিফলেটে৷ মূলত খুব প্রয়োজন ছাড়া দুপুরে বাইরে বের হতে নিষেধের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে কী করণীয়:

তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল পান করতে হবে৷ সবসময় পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে৷

দিনের বেলা বাইরে বেরোলে হাল্কা রংয়ের,  ঢিলেঢলা পোশাক পরুন৷

টুপি বা কাপড়,  তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে৷ সঙ্গে ছাতা রাখুন,  পায়ে জুতো অথবা চটি পরে তবেই বাইরে বেরোন৷

হাল্কা এবং জলীয় অংশ আছে যেমন তরমুজ, শশার মতো ফল বেশি করে খেতে হবে৷

বাড়িতে তৈরি লেবুজলের মতো পানীয় পান করুন৷

গৃহপালিত পশুদের ছায়ায় রাখুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ান৷

স্থানীয় আবহাওয়ার বার্তার দিকে খেয়াল রাখুন৷

অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন৷

 

কী করবেন না:

যতদূর সম্ভব প্রখর সূর্যালোকে না বেরনোর চেষ্টা করুন৷

খুব পরিশ্রমসাধ্য, দিনের বেলা এমন কাজ না করাই ভাল৷

দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে শিশু ও গৃহপালিত পশুদের রাখবেন না৷

বেশি প্রোটিনযুক্ত বা মশলাদার খাবার খাবেন না৷

 

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কী করবেন?

 

আক্রান্তকে সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভিতরে বা ছায়া রয়েছে এমন ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান৷

ভিজে কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দিন৷

লবণ জল, নুন- চিনির জল, ওআরএস খাওয়াতে থাকুন৷ তবে সম্পূর্ণ জ্ঞান ফেরার পরই খাবার বা জল দেওয়া যাবে আক্রান্তকে৷

অবস্থার উন্নতি না হলে আক্রান্তকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে৷