পুবের কলম প্রতিবেদক : লোকসভা ভোটে গতবারের তুলনায় আসনসংখ্যা কমেছে বঙ্গ বিজেপির। চার উপনির্বাচনে খাতাই খুলতে পারেনি। সেই ব্যর্থতার দায় ঢাকতে রাজ্যের শাসক সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে ফের আন্দোলন শুরু করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে রবিবার রাজভবনের সামনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই তিনি ঘোষণা করলেন আগামী ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করা হবে বিজেপির তরফ থেকে। ভোট পরবর্তী হিংসা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে উপনির্বাচনে হিন্দু ভোটারদের ভোট দিতে বাধাদান ইত্যাদি নিয়ে ধর্নামঞ্চে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। তারই অনুকরণে ২১ জুলাইকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে নির্দিষ্ট করল বঙ্গ বিজেপি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ২১ জুলাই ধর্মতলা চত্বরে শহিদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল। একুশের মঞ্চে রাজনৈতিক বার্তা দেন তৃণমূল সুুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য হেভিওয়েট নেতারা।
পুলিশ দিবসে বারুইপুর পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে চুরি যাওয়া ফোন তুলে দেওয়া হল প্রাপকদের
কু কথায় না- দলের নেতা কর্মীদের সমাজমাধ্যমে সাবধান করলেন অভিষেক
আরজি করে চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মিছিল
বেছে বেছে সেই একুশে জুলাইকেই গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করল বঙ্গ বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি ছিল, বেছে বেছে হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি উপনির্বাচনে।
এই প্রেক্ষিতেহ ‘গনতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের ডাক দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন তিনি। একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে বলেও জানিয়ে দেন শুভেন্দুবাবু। এরপর ২২ জুলাই বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিইএসসি-এর সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার সূচি নির্ধারিত হয়েছে।