Mon, September 30, 2024

ই-পেপার দেখুন

ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ আদালতের

আবুল খায়ের

Published: 12 July, 2024, 07:10 PM
ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ আদালতের

 

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর নির্দেশিকায় বলেছেন, মামলাকারীর উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্ত। ভিসেরা, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদে পাঠাতে হবে নমুনা। ঢোলাহাটের আইসিকে তদন্তে রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গতকাল (বুধবার) মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আবুর জামিনের জন্য তারা পুলিশকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছিল।  

ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত ঘটককুলতলার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক হালদারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগের তুলেছিল তার পরিবার। তাদের দাবি, পুলিশি হেফাজতে অত্যাচারের কারণেই আবু সিদ্দিকের মৃত্যু হয়েছে। যুবকের মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় বিক্ষোভ দেখায়।

শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গাইড লাইন মেনে নীলরতন সরকার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আবু সিদ্দিক হালদারের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পুলিশকে স্বস্তিক সেবা সদন নামের নার্সিংহোমের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত।

প্রথমবার ময়নাতদন্তে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে, তা দেখে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। গ্রেফতার করার সময় যিনি সুস্থ ছিলেন, সেই যুবক জামিন পাওয়ার চার দিন পর মারা গেলেন কীভাবে, এই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। তাই শুক্রবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে "প্রমাণ এখনই সংগ্রহ করতে হবে, নাহলে আর ভবিষ্যতে সংগ্রহ করা যাবে না। আগামিকালই (শনিবার) দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। মৃতের বাবার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।"

বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পরিবারের কেউ ছিল না ময়নাতদন্তের সময়। এমনকী ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন না। মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইনও মানা হয়নি। অন্তত তিনজন চিকিৎসককে থাকতে হবে। এখানে একজন চিকিৎসক ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন আবু সিদ্দিক হালদারের কাকা মহসিন হালদারের বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি হয় তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান এরপর জুলাই ঢোলাহাট থানার পুলিশ মহসিন হালদার তাঁর ভাইপো আবু সিদ্দিককে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযোগ, মহসিনকে দিয়ে ভাইপোর নামে জোর করে চুরির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয় জুলাই কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় আবু সিদ্দিককে ওইদিন জামিন পান তিনি তবে তখন তিনি গুরুতর অসুস্থ তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবারের পর তাঁকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতলে ভর্তির চেষ্টা হয় কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার যুবককে পার্কসার্কাসের স্বস্তিক সেবা সদন নামে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি সপ্তাহের গত সোমবার রাত দশটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়

   

Leave a comment