দেবশ্রী মজুমদার, ইলামবাজার: পায়ের স্কুলে পড়াশোনার সময় ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ের সাথে নিম্ন শ্রেণিতে পাঠরত তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হাজরা পরিবারের প্রেম শুরু হয়। যেখানে বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। ক্রমে মেয়ে বিশ্বভারতীর কলাভবনে ভর্তি হয় এবং ছেলেটি বোলপুর কলেজে ভর্তি হয়। মেয়ের বাবা দুই পরিবারের মধ্যে মিট ট্যুগেদারে কথা বলে মেয়েকে বাড়িতে ডেকে এনে কড়া শাসন শুরু করে। তাদের আপত্তির কারণ, তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত ছেলেটির বাবা একজন সাধারণ চাষি। অন্যদিকে মেয়েটির বাবা এল আই সির এজেন্ট এবং তার জেঠা বোলপুর আদালতের একজন কর্মী।
কেন্দ্রীয় ন্যায় সংহিতার বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ
আবারো বহড়ু বাজারের এফ সি আই এর গোডাউনে ইডির হানা
২১ শে জুলাইকে সামনে রেখে দক্ষিণ বারাসতে তৃণমূলের প্রস্তুতি সভা
ইতিমধ্যে বিয়ে হয়ে গেলেও, মেয়ের বাবা ইলামবাজার থানায় অভিযোগ করেন। বোলপুর চাইল্ড লাইনের তরফে বিয়ে আঁটকানো হয়। মামলা কোলকাতা কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। শেষমেশ বিয়েতে ইঞ্জাংশন হয়। সম্প্রতি আদালতের রায়ে মেয়েকে পুলিশি সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মেয়ে বাবা মায়ের কাছে যেতে গররাজি। তার অভিযোগ, তাকে খুন করা হতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করে জানতে চান, বিষয়টি কি অনার কিলিং গোত্রীয়। তারপরই পুলিশি সুরক্ষার কথা বলেন। বর্তমানে ছেলেটি পায়ের গ্রামে আছে। মেয়েটি ইলামবাজারে আছে।