Mon, September 30, 2024

ই-পেপার দেখুন

খালে কচুরি পানা, পলি: বর্ষায় ক্ষতির মুখে পড়ার দুশ্চিন্তায় শাসনের হাজার মৎস্যচাষি

Bipasha Chakraborty

Published: 09 July, 2024, 06:52 PM
খালে কচুরি পানা, পলি: বর্ষায় ক্ষতির মুখে পড়ার দুশ্চিন্তায় শাসনের হাজার মৎস্যচাষি

 

রফিকুল হাসান, শাসন: খালে ভরে গিয়েছে কচুরি পানা, তা পরিষ্কার হচ্ছে না। আবার এদিকে পলি পড়ে বিদ্যাধরী নদীর সঙ্গে সংযোগ খাল মজে গিয়েছে। আর যা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন শাসনের মৎস্য চাষীরা। সামনেই বর্ষা আসছে, ভেড়ির জল পাস না হলে ফের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ বেরিয়ে যাবে। ভয়ে এখন বুক কাঁপছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত দুই ব্লকের গোটা শাসন এলাকার কয়েক হাজার মৎস্য চাষিদের। 
বলাবাহুল্য, বারাসাত দুই ব্লকের শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত, ফলতি বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েত, দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, এদিকে খড়িবাড়ির কীর্তিপুর ১ ও কীর্তিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার একর এলাকাজুড়ে মৎস্য চাষ হয়। এই মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার ভেড়ি ব্যবসায়ী। আর এই মাছ চাষের লাইফ লাইন হলো বিদ্যাধরি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খড়িবাড়ির ছোট খাল ও বড় খাল। এই খাল দুটি দীর্ঘ ১০ বছর সংস্কার হচ্ছে না। খালে কচুরি পানা জমে গিয়েছে।

পলি পড়ে খাল দুটি দিয়ে জল বিদ্যাধরী নদীতে গিয়ে পড়ছে না। এমনটাই অভিযোগ ভেড়ি ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ, ওহাব হাজীদের। তাঁদের কথায়, সামনেই বর্ষা আসছে ভেড়ির জল উপচে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ খালে ভেসে যায়। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। মৎস্য চাষি সফিক সাহেব বলেন, বড় পোল ও ছোট পোলের খাল দুটি দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার হচ্ছে না। পলি পড়ে কচুরি পানা ভরে গিয়েছে খাল দুটিতে। বারবার বিডিও ও পঞ্চায়েতকেও জানিয়েও সংস্কার হচ্ছে না। সামনেই বর্ষাকাল আসছে। ফের আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। যদিও বারাসাত দুই ব্লকের বিডিও শেখর সাই খাল দুটি সেচ দফতরের বলে দায় সেরেছেন। তবে এ বিষয়ে সেচ দফতরকে খাল খনন ও কচুরি পানা পরিষ্কারের জন্য জানাবেন বলে তিনি জানান। 
তবে এ ব্যাপারে মৎস্য চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা তথা স্থানীয় দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপপ্রধান আব্দুল হাই। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে খাল দুটি সংষ্কারে হাত লাগাব।

বর্ষা আসার আগে এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশ মেনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মৎস্য চাষিদের পাশে আছি। এবারও যদি বর্ষার আগে খাল সংস্কার না হয় ফের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে যাবে বলে ভয়ে প্রহর গুনছেন শাসনের কয়েক হাজার মৎস্যচাষি।

Leave a comment