কিবরিয়া আনসারী: বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত জেনো থামছেই না। এবার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনগণের ভোটে জয়ী দুইজন বিধায়কের শপথ কেনো এভাবে আটকে রাখা হবে? সেই প্রশ্নও তুললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল কেন ওঁদের শপথ নিতে দিচ্ছেন না? কেন ওঁদের রাজভবনে যেতে হবে? কেন বিধানসভায় শপথ নিতে পারবেন না? রাজ্যপাল দরকার হলে বিধানসভায় আসুক।’ রাজভবনে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতার বক্তব্য, ‘রাজভবনে যা কীর্তিকলাপ চলছে, মেয়েরা ওখানে যেতে ভয় পাচ্ছে! কেন ওরা রাজভবনে যাবে?’
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে জয়ী রাজ্যের শাসক দলের দুই বিধায়ক শপথ গ্রহণের জন্য কার্যত ধর্নায় বসেছেন। ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার এবং বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হবেন। স্পিকারের দাবি, বিধানসভা সংবিধান মেনে কাজ করছে। রাজ্যপাল কী চাইছেন, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। দুই বিধায়ককে কেন রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে হবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্পিকারের এক্তিয়ার নিয়ে আইনি পরামর্শ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে
ব্রেকিং:জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল
ভয়াবহ বন্যার কবলে পাঁশকুড়া সহ আরও তিনজেলা, ত্রাণ থেকে ত্রিপল নিতে হুড়োহুড়ি
বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজভবনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজভবনে গিয়েই শপথ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যপালের এই দাবি অসাংবিধানিক বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের দাবি, বিধায়ক বিধানসভায় শপথ নেবেন, সেটাই প্রথা। রাজ্যপাল চাইলে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। সেটা না করে তিনি শপথের অনুষ্ঠান ফেলে রাখছেন বলে অভিযোগ।