Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

নজির মাও নেতার, জেলে বসে পিএইচডির ইন্টারভিউ

ইমামা খাতুন

Published: 26 June, 2024, 06:58 PM
নজির মাও নেতার,  জেলে বসে পিএইচডির ইন্টারভিউ

 পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জেলে বসেই পিএইচডির আবেদন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ দিলেন মাও নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। বর্তমানে হুগলির সংশোধনাগারে বন্দি সে। সেখান থেকেই চালিয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা। জেল থেকে পরীক্ষা দিয়েই স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট(সেট)-এ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন অর্ণব দাম।   বুধবার তাঁর ইন্টারভিউ হল গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ইতিহাস বিভাগে।

 


 

রাজ্য কারা দফতর সূত্রে খবর, এর আগে কেউ জেলবন্দি অবস্থায় এ ধরনের কোনও পরীক্ষায় সফল হননি। এবার সেই অর্ণব পিএইচডি করতে চান। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। 
 

এই বিষয়ে  ইতিহাস বিভাগে বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তানভির নাসরিন বলেন, এটি খুব ভালো একটি দিক। উনি সমাজের  মূলস্রোতে ফিরতে চাইছেন দেখেই ভালো লাগল। সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন অর্ণব। উনি সবদিক থেকে যোগ্য। ইন্টারভিউ হয়েছে। যদি অর্ণব নির্বাচিত হন. তাহলে  পুরো বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, গড়িয়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এসকে দামের ছেলে অর্ণব,। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী।   মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে খড়গপুর আইআইটি-তে পড়াশোনা করেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন গায়েব হয়ে যায় সে। পরে জানা যায়, সিপিআই (মাওবাদী)-এর রাজনৈতিক মতবাদে আকৃষ্ট হয়ে  সংগঠনে যোগ দেন তিনি। 

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মাও নেতা কিষেনজির অত্যন্ত স্নেহের পাত্র ছিলেন।শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা থেকে শুরু করে একাধিক মাও  হামলায় অভিযুক্ত অর্ণব আসানসোল থেকে ধরা পড়েন। ২০১২ সালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তারপর থেকেই জেলবন্দি তিনি। কারাবন্দি থাকাকালীন  অসম্পূর্ণ থাকা উচ্চশিক্ষায় মনোনিবেশ করেন তিনি।  

জেল থেকেই পরীক্ষা দিয়ে স্নাতক হন। প্রায় ৭০ শতাংশ নম্বর নিয়ে শেষ করেন স্নাতকোত্তর পাঠ। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট(নেট)-এ বসার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় শেষ পর্যন্ত তিনি সেই পরীক্ষা দিতে পারেননি। প্রায় ৪০ বছর বয়সী প্রাক্তন মাওবাদী নেতা সেট পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন জানান। জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে সেই পরীক্ষা তিনি দেন। সেটে পাশ করার পর এবার পিএইচডি করা লক্ষ্য তাঁর। এদিন প্রথম ধাপ পূরণ করলেন। 

 

 

Leave a comment