Sun, October 6, 2024

ই-পেপার দেখুন

পুজোর মুখে ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন

আবুল খায়ের

Published: 06 October, 2024, 01:35 AM
পুজোর মুখে ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে আমরণ অনশনের পথেই হাঁটলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘোষিত হয়েছিল ডেডলাইন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর না আসায় ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে অনশণ শুরু করলেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। অনশনকারীরা হলেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ), অর্ণব মুখোপাধ্যায় (এসএসকেএম), তনয়া পাঁজা (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ), সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা (কেপিসি), পুলস্ত্য আচার্য (এনআরএস) এবং স্নিগ্ধা হাজরা (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ)।

উল্লেখ্য, যে মেডিক্যাল কলেজের ঘটনাকে ঘিরে এই আন্দোলন সেই আর জি করের কোনও প্রতিনিধিকে এ দিনের অনশণে যোগ দিতে দেখা গেল না। শুক্রবার সন্ধ্যায় আর জি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার-সহ দশদফা দাবিতে মিছিল করে আন্দোলকারীরা। মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এক প্রতিবাদী চিকিৎসকের। যা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরবর্তীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা সরকারকে ২৪ ঘন্টার ডেডলাইন বেঁধে দেয়। যেখানে বলা হয় এই সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি না মানলে আমরণ অনশন শুরু করবে তারা। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চলতে থাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হয়।

শনিবার সকালেই লালবাজারের তরফে মেল করে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুজোতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে এবং যান নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে এই যুক্তি দিয়েই পুলিশ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না তুলতে বলে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের সাফ কথা, মিথ্যে দাবি করছে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারাদিন ওই রাস্তায় যান চলাচলে কোনও অসুবিধা হয়নি। উলটে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে 'থ্রেট কালচারের' অভিযোগ তোলে।

পুলিশের এই মেল প্রসঙ্গে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যে দাবিগুলি করা হয়েছিল তা অত্যন্ত ন্যায্য এবং সেটা সরকার থেকে শুরু করে সকলেই জানেন। তাই তাঁদের দাবি রাজ্য মেনে নিলে এই দিন আসে না। এখন তাঁরা দুটি শর্তেই এই অনশন তুলতে পারেন। এক, সব দাবি মানা হলে আর দুই, তাঁদের মৃত্যু হলে! 
একইসঙ্গে তারা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা এমনটাই জানানো হয়েছে। 

Leave a comment