পুবের কলম প্রতিবেদক: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রীর অর্ডারের বাস্তবায়ন হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি উঠছে না। এবার এই নিয়ে মন্তব্য করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জুনিয়র ডাক্তারদের ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে সম্বোধন করে তিনি আহ্বান করেন যাতে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেন।
তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের কী সুবিধা-অসুবিধা শুনেছেন। আর সমস্যার সমাধান কালো বেলুন উড়িয়ে নয়। আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমাধান করতে হবে।’ ফিরহাদ এও বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী শুধু তাঁদের দাবি নয়, তাঁদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেবেন। আর ভারতীয় সংবিধানের উপর দায়িত্ব রাখা আমাদের কর্তব্য।’
প্রাপ্তবয়স্ক সহ শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক করতে সচেতনতার অনুষ্ঠান ইউনিসেফের
২০২৫ সালের হজ সচেতনতা শিবির সিউড়িতে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকে পদত্যাগ অধীরের
আজ ববি হাকিম বুঝিয়ে বলেছেন কেন জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়া উচিত। এ দিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘হেড অব দ্যি ভারত মৌখিক ভাবেই পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলে আসেন। এরপর যখন সেক্রেটারি লেভেলে হয় এক্সচেঞ্জ অব ফাইল হয়। হেড অব দ্যি গর্ভমেন্ট যখন বলেছেন তখন সেইটাই হল অর্ডার। এবং সেইটাই হবে। এটাই প্রথা। আমাদের ক্যাবিনেটও যখন হয় তখন সব লেখা পড়ার মধ্যে হয় না। সেটা মিনিটস হয়ে অ্যাকশনে পরিবর্তন হয়। এটা ওরা হয়ত জানে না। ছোট-ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়ে। বাচ্চারা এটা জানে না। যেটা কর্তব্য তাতে ফিরে আসা উচিত।’
প্রসঙ্গত, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে কলকাতা পুলিশের সিপি, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানো হবে। তবে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, তযতক্ষণ না অবধি এর বাস্তবায়ন ঘটছে, ততক্ষণ অবধি আমরা আমাদের আন্দোলন, অবস্থান, কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বাস্তবায়ন হবে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানি হবে, তারপর আমরা প্রত্যেকটা কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে বসে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব।
তার আগে নয়। এ দিকে, আজ জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং সওয়াল করেন, তচিকিৎসকরা কাজে ফিরতে চান। কিন্তু তাঁরা মনে করছেন, যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তারা এখনও হাসপাতালেই কাজ করছে। ফলে চিকিৎসকরা কাজে ফিরলে বিপদে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।দ আইনজীবী শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী নির্দেশ (কাজে ফেরার নির্দেশ) বহাল থাকছে, পরিবর্তন করা হচ্ছে না। তাঁর নির্দেশ কার্যকর করবেন কীভাবে, চিকিৎসকদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।