Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

তৃণমূল-শহীদদের স্মরণে সভা জামালপুরে

Kibria Ansary

Published: 15 September, 2024, 03:39 PM
তৃণমূল-শহীদদের স্মরণে সভা জামালপুরে

এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: গত ২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের অমরপুর এলাকায় সিপিএমের একদল দুষ্কৃতীর হাতে প্রাণ গিয়েছিল তিন তৃণমূল কর্মীর। তারা হলেন, পাঁচুগোপাল রুইদাস, উত্তম ও ইসাহাক মল্লিক। তৃণমুলের দাবি, তাঁদের অপরাধ ছিল সেই সময় সিপিএমের আমলে তাঁরা তৃণমূল করতেন। তাঁদের এই মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে যায় জামালপুর তথা রাজ্য রাজনীতিতে। ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেদিনই বলেছিলেন, এই শহীদদের আত্মবলিদান বিফলে যাবে না।

সেই উপলক্ষে জামালপুরের অমরপুর চৌমাথায় শনিবার জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই শহীদদের স্মরণ সভা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, জেলা পরিষদের সদস্য শোভা দে, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ওয়াসিম সরকার, অঞ্চল সভাপতি তপন দে সহ অন্যান্যরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপস্থিত হন বহু কর্মী সমর্থক। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিধায়ক আলোক বাবু বলেন, "শহীদদের আত্মবলিদান বিফলে যায়নি। আজ দল ক্ষমতায় এসেছে এই মানুষগুলোর আত্মবলিদানের জন্যই। সিপিএমের এই অত্যাচার আজও মানুষ ভুলতে পারে নি।তাই নির্বাচনে বার বার তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু এই সময় বিরোধীরা নানা ভাবে চক্রান্ত করছে তাদের সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।"

ব্লক সভাপতি মেহমুদ বাবু তাঁর বক্তব্যে সেই সেদিনের অনেক স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, "এই শহীদদের মৃতদেহ নিয়ে আসা নিয়েও পুলিশের সাথে অনেক সমস্যা হয়েছিল। সিপিএমের হার্মাদদের হাতে তিনি নিজেও অনেক অত্যাচারিত হয়েছেন। তিনি বলেন তিনি নিজেও হয়তো খুন হয়ে যেতে পারতেন সেই সময়। যে স্বপ্ন এই শহীদরা দেখেছিলেন সেগুলোকেই রূপদান করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"

রাজ্য - এর থেকে আরোও খবর

Trinamool Martyrs in Jamalpur Meeting in memory TMC

Leave a comment