উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : যখন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে পড়ছে ঠিক তখনই অন্য দৃশ্য ধরা পড়লো দ: ২৪ পরগনা জেলার রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার দক্ষিণ শ্রীপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।আসে যায় বেতন পায় অবস্থা। রাজ্যের স্কুলে এমন চিত্র বেনজির। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষিকা অথচ একজন ও ছাত্র ছাত্রী নেই।শিক্ষকরা স্কুলে আসে বসে থাকে তারপর বাড়ি চলে যায় বেতন ও ঠিক সময় মত পেয়ে যায়।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ছাত্র ছাত্রী কমতে কমতে এখন শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এই স্কুলে ছাত্র ছাত্রী না আসায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও।রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এই প্রাথমিক স্কুলটির এখন ভগ্ন দশা অবস্থায়। এমন কি যাত্রাপালার রিয়েসালের জন্য স্টেজ ও করা রয়েছে স্কুলের একটি কক্ষে। এছাড়া ও খাওয়া-দাওয়ার জন্য সেখানে তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী কাঠের চুলো। গোটা স্কুল জুড়ে ভর্তি হয়ে রয়েছে আগাছায়, যার ফলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব।
সিপিএমের পলিট ব্যুরো সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ের দায়িত্বে প্রকাশ কারাট
আবারো বহড়ু বাজারের এফ সি আই এর গোডাউনে ইডির হানা
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুতের দাবি চিকিৎসকদের
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অনিতা ঢালি বলেন,এবছরের জানুয়ারি মাস থেকে একেবারে শূন্য হয়ে গেছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। প্রাইমারি স্কুল বোর্ডকে এই স্কুলের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।এই স্কুলের সভাপতি নটগোপাল দাস বলেন, আশেপাশে প্রাইমারি স্কুলের সাথে হাইস্কুল একসাথে থাকায় তাঁরা সেখানেই চলে যাচ্ছে। এইমতো অবস্থায় প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না ? কারণ এক সময় গমগম করে চলা স্কুলে এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি এখন এই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা নেওয়া হবে, নাকি এই স্কুলকে পুনরায় আবার নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাবে প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ?এই প্রশ্নই এখন এলাকার সাধারণ মানুষদের।স্থানীয় কাউন্সিলার বরুণ সরকার বলেন,আমরা চাই স্কুলে আবার পড়ুয়া আসুক এবং আগের মতন জমজমাট হোক।