পুবের কলম প্রতিদেবক: আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ১ অভিযুক্ত। সেই ঘটনায় এবার অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক সংবাদমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মৃত্যুটা খুবই অমানবিক, ন্যক্কারজনক, নৃশংস। জুনিয়র ডাক্তাররা যে দাবি জানাচ্ছে, তা সঙ্গত। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে কেসটা গিয়েছে, একেবারে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক।”
পাশাপাশি সিবিআই তদন্তে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “কালকে আমি ঝাড়গ্রামে ছিলাম। আসতে আসতে খবর রাখছিলাম। বাবা-মার সঙ্গেও কথা বলেছি। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে কেসটা গিয়েছে, একেবারে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। অভিযুক্তের কোনও ক্ষমা নেই। ১ জনকে তো গ্রেফতার করেছে, একটা ব্রেক থ্রু নিশ্চয়ই হয়েছে।”
কাজে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, বিচারের দাবিতে আজ স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স মিছিল
রেশন দুর্নীতিতে ইডির হানা দেগঙ্গার রাইস মিলে
কর্মবিরতির মাঝেই চালু অভয়া টেলি মেডিসিন ও ক্লিনিক
আর জি কর হত্যাকাণ্ডে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মূল চক্রী'কে খুঁজে বের করতে পুলিশ'কে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেতাম দিয়েছেন তরুণী চিকিৎসকের সহকর্মী ও সহপাঠীরা। এই আবহে তৎপর পুলিশও। মাঝরাতেই এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর ওই যুবকের নাম সঞ্জয় রায়। সে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত হোমগার্ড। তবে, হাসপাতালের সরকারি কোনও নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতো না। বেসরকারি কোনও সংস্থা থেকে ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন তরুণীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সেমিনার হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় সংজ্ঞাহীন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সেমিনার হল থেকে ব্লু টুথের ছেঁড়া তার সংগ্রহ করা হয়েছে । সেই তারের সূত্র ধরেই সঞ্জয়কে আটক করা হয়েছে। ঘটনার রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে আর অন্য কেউ সেমিনার হলে ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাতেই ঘটনার তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেছে। ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করেছে। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মৃত তরুণীর গলায় ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণী চিকিৎসকের গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই মনে করা হচ্ছে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এছাড়া চোখ, গলায় রক্তের দাগ এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নও রয়েছে।