পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মূল চক্রী'কে খুঁজে বের করতে পুলিশ'কে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেতাম দিয়েছেন তরুণী চিকিৎসকের সহকর্মী ও সহপাঠীরা। এই আবহে তৎপর পুলিশও। মাঝরাতেই এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর ওই যুবকের নাম সঞ্জয় রায়। সে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত হোমগার্ড। তবে, হাসপাতালের সরকারি কোনও নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতো না। বেসরকারি কোনও সংস্থা থেকে ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন তরুণীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সেমিনার হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় সংজ্ঞাহীন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷
সুপ্রিম ডেডলাইনের পালটা রাজ্যকে ডেডলাইন জুনিয়র ডাক্তারদের! স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক
‘ওহ আপনি আমাকে পরাজিত করেছেন’, হাত জোর করে প্রতি নমস্কার পট্টনায়েক ও বাগের… সৌজন্য দেখালো ওড়িশা
হিন্দুত্বের ট্রেনিং সেন্টারে পরিণত হচ্ছে নালন্দা: অমর্ত্য
পুলিশ সূত্রে খবর, সেমিনার হল থেকে ব্লু টুথের ছেঁড়া তার সংগ্রহ করা হয়েছে । সেই তারের সূত্র ধরেই সঞ্জয়কে আটক করা হয়েছে। ঘটনার রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে আর অন্য কেউ সেমিনার হলে ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাতেই ঘটনার তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেছে। ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করেছে।
যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মৃত তরুণীর গলায় ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণী চিকিৎসকের গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই মনে করা হচ্ছে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এছাড়া চোখ, গলায় রক্তের দাগ এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নও রয়েছে।