জেনেভা: প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে পতন হলেও সিরিয়ায় এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি। দেশটির উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক সমর্থিত সশস্ত্র দল এবং কুর্দি যোদ্ধাদের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে সতর্ক করল রাষ্ট্রসংঘ। ইউএন-এর দূত গেইর পেডারসেন বলেছেন, আসাদের উৎখাতের পরও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এএনএ) এবং কুর্দিদের নেতৃত্বে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) সঙ্গে লড়াই চলছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার আগে গত দুই সপ্তাহে সেখানে ব্যাপক সংঘাত হয়েছে।’ সেখানে যুদ্ধ বাড়াটা বিপর্যয়কর হবে বলেও সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত।
Read More: গাজার বর্বরতাকে ঘৃণা করি, পশ্চিমাদের ‘উন্মাদ’ বললেন ওয়াটার্স
এদিকে পেডারসনের বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, উত্তর সিরিয়ায় যে যুদ্ধবিরতি চলছে, সেটা এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কোনো পক্ষই সিরিয়ায় সংঘাত বৃদ্ধি দেখতে চায় না। মিলারের কথায়, ‘আমরা সামনের পথ নিয়ে এসডিএফের সঙ্গে, তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।’
মধ্যপ্রাচ্যের সশস্ত্র জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরিয়ায় যে জোট গঠন করা হয়েছিল, তার প্রধান মিত্র এসডিএফ। দলটি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) নেতৃত্বে লড়াই করে। এদিকে, তুরস্ক ওয়াইপিজিকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সম্প্রসারিত অংশ হিসাবে দেখে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দল পিকেকে প্রায় ৪০ বছর ধরে তুরস্কের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। গত সপ্তাহে এসএনএর যোদ্ধারা এসডিএফের কাছ থেকে সিরিয়ার উত্তরের শহর মানবিজ দখল করে। এরপর তারা ইউফ্রেতিস নদী ধরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এনিয়েই সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রসংঘ।