পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রকৃতি যেন আপন হাতে সাজিয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য গুলিতে। অরুণাচল, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এমনিতেই পর্যটকদের কাছে স্বর্গ।
প্রতিবছর ন্যাগাল্যান্ড পয়লা ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেতে ওঠে হর্নবিল উৎসবে। তবে ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের আধিক্যের জন্য একেবারেই বন্ধ ছিল বিশ্ববিখ্যাত এই উৎসব।
করোনা বিধি মেনেই আপনি সামিল হতে পারেন হর্নবিল উৎসবের আনন্দে। তবে মানতে করোনা বিধি।
১ নাগাল্যান্ডে প্রবেশের আগে নিজের সঙ্গে রাখুন টিকার দুটি ডোজের শংসাপত্র, নাহলে করা হবে আপনার আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা।
২ ১২ বছরের কম শিশুদের কোন রকম টেস্ট করা হবেনা
৩ করোনা বিধিনিষেধ ছাড়াও ভারতীয়দের ‘ইনার লাইন পারমিট’ নিতে হবে। এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে নাগাল্যান্ড হাউজে। ০৩৩ ২৩৩৫০১২৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।
২০০০ সাল থেকে নাগা সরকারের পর্যটন, সংস্কৃতি এবং শিল্পকলা দফতর এই উৎসবের এই আয়োজন করে থাকে। নাগাল্যান্ডের যোদ্ধা সম্প্রদায়ের এই উৎসব দারুণ বর্ণময়।
নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা শহর থেকে ১২ কিমি দূরত্বে অবস্থিত নাগা হেরিটেজ গ্রাম ‘কিসামা’য় শুরু হয় এই উৎসব। হর্নবিল পাখির নাম থেকেই এই উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে।
নাগা আদিবাসীরা আকর্ষণীয় এবং রং-বেরঙের পোষাকে সাজেন। সঙ্গে থাকে উজ্জ্বল রঙের কিছু অলঙ্কার, ওঁরৈ ছাগলের শিঙ দিয়ে তৈরি গলার হার, মুকুট এবং পায়ের বেড়ি দিয়ে সাজে। এই উৎসবে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি অলঙ্কার পরে নাচ-গান করা এক ঐতিহ্যের বিষয়বস্তু।
প্রাচীনকালে যুদ্ধে বীরত্ব দেখানোর জন্য হাতির দাঁতের তৈরি অলঙ্কার পরতেন তাঁরা, সেই রেওয়াজকে অটুট রাখতেই এই রীতি। সারা বিশ্বের কাছে বার্ষিক নাগা উৎসব হিসেবে পালিত হয় এই উৎসব। নাগাদের কৃষি একটা উল্লেখযোগ্য পেশা, তাঁকে সম্মান জানাতেই এই রঙিন উৎসব। ভারতীয় লোকউৎসবের পারম্পর্য কে আজও মনে পড়ায় এই হর্নবিল উৎসব।