পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ভেসেল ডুবির ৪৮ ঘণ্টা পরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চিন্তা বাড়িয়েছে জল দূষণ। কন্টেনার-সহ ভেসেলের একাংশ জলে ডোবার ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মেরিন বিভাগের একাংশের। এই অবস্থায় খিদিরপুর ডকের ৫ নং বার্থের বড় অংশ জুড়ে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলের একটা বড় অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে অয়েল স্পিল বুম ব্যারিয়ার দিয়ে। ডুবে থাকা ভেসেলের চারিদিকে নজর রাখা হচ্ছে যাতে কোনও ভাবেই রাসায়নিক ছড়িয়ে না পড়ে।
এ ছাড়া বার্থে রাখা হয়েছে পাম্প– তেল বা রাসায়নিক শুষে নেওয়ার প্যাড। যদি কোনও ভাবে দেখা যায় জাহাজ থেকে রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এগুলিকে কাজে লাগানো হবে। এ ছাড়া সমীক্ষা চালানো ও রেসকিউ অপারেশনের জন্যে বিশেষ দল রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় খিদিরপুরে যাত্রা শেষ করে মেরিন ট্রাস্ট বাংলাদেশের এই ভেসেলের চট্টগ্রাম বন্দরে ফেরার কথা ছিল কন্টেনার-সহ ভেসেলটির। কিন্তু যে জাহাজটি নেতাজী সুভাষ ডক থেকে যাত্রা করার পরিকল্পনা করেছিল– তা হঠাৎ ১৫ মিনিটের মধ্যে কেন ডুবে গেল– তার তদন্ত চলছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে– ১৮টি ২০ ফুট কন্টেনার সরাসরি জলে চলে গিয়েছে এবং ১০টি ৪০ ফুট কন্টেনার জলের উপরিভাগে ভাসছে– যা দড়ি বেঁধে সুরক্ষিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং পণ্যবাহী জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রী বা পণ্য টার্মিনাল অপারেটর– স্যালভেজ অপারেটর এবং বিমা কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনা যেখানে ঘটে– তার কাছেই থাকা অন্য একটি লঞ্চ থেকে ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়। দ্বিতীয় লঞ্চটির যাত্রীরা চিৎকার করে জাহাজটিকে থামানোর জন্য সতর্কও করতে থাকেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই কন্টেনারের অবস্থান জানতে ডুবুরি নামিয়ে অবস্থা দেখা হয়েছে। ডুবে যাওয়া জাহাজটি আপাতত ঘেরাটোপে বন্দী। জাহাজের নাবিক-সহ বেশ কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ কথা বলছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চিন্তা বাড়িয়েছে স্রোতের টানে কন্টেনার যেন অন্য কোনও দিকে ভেসে না যায়। তাহলে বাকি জাহাজ চলাচলে সমস্যা তৈরি হবে। ৫ নং বার্থের একাংশ ব্যবহার না হলেও– খিদিরপুর ডক ব্যবহার করতে অসুবিধা হচ্ছে না।